মুম্বাই, ৬ মার্চ — দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি এখনো কেন গৌতম আদানির মূলধনের প্রকৃত উৎস খুঁজে বের করতে পারেনি, রবিবার সেই প্রশ্ন তুলেছেন রিজার্ভ ব্যাংক-এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। সে জন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলোর সাহায্য প্রয়োজন কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
২০২০ সালে গৌতম আদানির সম্পদমূল্য ছিল ৮৯০ কোটি ডলার। দুই বছরের মধ্যে তাঁর সম্পদমূল্য ফুলে–ফেঁপে ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। ফলে হঠাৎ করে তাঁর এমন উত্থানের পেছনে কারসাজি আছে, এই সন্দেহ অনেক আগে থেকেই ছিল।, এবার সেই প্রশ্ন সামনে নিয়ে এলেন রাজন।
হিন্ডালবার্গ রিপোর্টে অভিযোগ ছিল, আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে বিনিয়োগ করা মরিশাসের কিছু কোম্পানি কার্যত ভুয়ো। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্ট সেলার হিনডেনবার্গ রিসার্চ যখন অভিযোগ করল, গৌতম আদানির কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম জালিয়াতি করে বাড়ানো হয়েছে, তখন সেই সন্দেহ আরও দানা বাঁধে।
এখানেই থেমে থাকেননি রাজন। স্বভাবসুলভ চাঁছাছোলা ভাষায় বলেছেন, বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও পারিবারিক কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই উৎসাহ দেওয়া উচিত, কিন্তু তারা যেন বাড়তি সুবিধা পেয়ে অন্যায়ভাবে অন্যদের পেছনে ফেলতে না পারে বা বেশি ক্ষমতাধর না হয়ে ওঠে, তা–ও খেয়াল রাখতে হবে। রঘুরাম রাজন অবশ্য আদানি গোষ্ঠীর নাম মুখে না আনলেও সরকারের সঙ্গে শিল্প গোষ্ঠীর দহরম-মহরম নিয়ে সরাসরি কটাক্ষ করেছেন।