• facebook
  • twitter
Friday, 20 September, 2024

রোগা হতে দূরে রাখুন ডাইজেস্টিভ বিস্কুট

দৈনন্দিন জীবনের চক্করে নিয়ম করে জিমে যাওয়া তো দূরের ব্যাপার, ঠিক মতো খাওয়াদাওয়াই করা হয়ে ওঠে না। ফলে, রোগা হওয়াই শুধু নয়, অল্প বয়সেই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম। বাজারে প্রচলিত এমন বেশ কিছু ওষুধ ও খাবার রয়েছে, যা খেলে নাকি রোগা হওয়া যায়। সঙ্গে এমনও দাবি যে, এই খাবারগুলি স্বাস্থ্যকর এবং কোনও পার্শ্ব

দৈনন্দিন জীবনের চক্করে নিয়ম করে জিমে যাওয়া তো দূরের ব্যাপার, ঠিক মতো খাওয়াদাওয়াই করা হয়ে ওঠে না। ফলে, রোগা হওয়াই শুধু নয়, অল্প বয়সেই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম। বাজারে প্রচলিত এমন বেশ কিছু ওষুধ ও খাবার রয়েছে, যা খেলে নাকি রোগা হওয়া যায়। সঙ্গে এমনও দাবি যে, এই খাবারগুলি স্বাস্থ্যকর এবং কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই।

এমনই এক পরিচিত খাবার হল ‘ডাইজেস্টিভ বিস্কুট’। প্রচলিত ধারণা, এই বিস্কুট স্বাস্থ্যকর। এবং এই বিস্কুট খেলে ওজনও বাড়ে না। কিন্তু, এ তথ্য সম্পূর্ণ ঠিক নয় বলেই জানিয়েছে এক গবেষণা। ডাইজেস্টিভ বিস্কুট মূলত তৈরি হয়েছিল সেই সব মানুষকে মাথায় রেখে, যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে। সহজে হজম হয়ে যাওয়া এই বিস্কুট, চায়ের সঙ্গে এক-আধটা খেলে খুব একটা সমস্যা নেই।

কিন্তু জেনে রাখুন, এই বিস্কুট প্রসেস্‌ড ফুডের একটি আদর্শ উদাহরণ। এবং চিকিৎসকরাই বারণ করছেন এই বিস্কুট খেতে, মূলত ৩টি কারণে—

প্রথমতঃ ডাইজেস্টিভ বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু তার সঙ্গে থাকে সুগার, ফ্যাট, সোডিয়াম ও রিফাইন্ড ময়দাও। যা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। দ্বিতীয়তঃ কখনও দেখেছেন ডাইজেস্টিভ বিস্কুট পচে গিয়েছে বা তাতে ছাতা পড়েছে? না তো! এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে এই ধরনের বিস্কুটে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভ জাতীয় জিনিস। তৃতীয়তঃ ডাইজেস্টিভ বিস্কুটে অন্তত পক্ষে ৫০ ক্যালোরি থাকে, যা খুব সহজেই শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। সুগার, ফ্যাট, সোডিয়াম, ময়দায় থাকে ‘আনহেলদি’ ক্যালোরি।