বিজেপি সাংসদের সতীদাহ মহিমা কীর্তনে উত্তাল লোকসভা, মুলতুবি অধিবেশন

দিল্লি, ৭ ফেব্রুয়ারি– আজও ভারতের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয় সতীদাহ প্রথাকে। একসময় বিধবা নারীর স্বামীর চিতায় সহমরণের কুপ্রথা বন্ধ করে প্রায় প্রাণপাত করতে হয়েছিল রাজা রামমোহন রায়কে। কিন্তু সেই প্রথারই মহিমা কীর্তন করতে শোনা গেল বিজেপি সাংসদ সিপি জোশির মুখে । তাও সংসদে দাঁড়িয়ে। যাকে ঘিরে ঘনিয়েছে তুমুল বিতর্ক শুরু হল সংসদে । বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে স্পিকার ওম বিড়লা অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।

আসলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পর তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার সময়ই ‘সতী’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ। রাজস্থানের চিতোরগড়ের সাংসদ জোশি রানি পদ্মাবতীর প্রসঙ্গে বলেন, আলাউদ্দিন খিলজি যখন আক্রমণ করেছিলেন সেই সময় রানি পদ্মাবতী সতী হন। এরপরই সুপ্রিয়া সুলে-সহ বহু মহিলা সাংসদই আপত্তি জানিয়ে বলেন, এখানে সতীদাহকে মহিমামণ্ডিত করা হচ্ছে। শুরু হয়ে যায় হট্টগোল। গোলমাল এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করার কথা ঘোষণা করেন।

তবে বিজেপি সাংসদের দাবি, তিনি সতীদাহ নিয়ে কিছু বলেননি। কেবল রানি পদ্মাবতী যে ‘জওহর’ ব্রত পালন করেছিলেন, সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। বিরোধী সাংসদরা যখন ওয়েলে নেমে তীব্র প্রতিবাদ করছেন, সেই সময় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমি আমার বক্তব্যে অটল থাকব।”

উল্লেখ্য, এর আগে গত তিনদিন সংসদের দুই কক্ষেরই অধিবেশন মুলতুবি হতে দেখা গিয়েছে আদানি ইস্যুতে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের পর ধন্যবাদ জ্ঞাপনে রাজি হয় বিরোধীরা। ব্যতিক্রম ছিল আপ ও বিআরএস।