মুম্বাই,২ ডিসেম্বর — ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হওয়ার। ‘সোলে’, ‘কৌশিস’, ‘দস্তক’, ‘আন্ধি’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘সিলসিলা’সহ অনেক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এটা ঠিক, বলিউডের ‘হার্টথ্রব’ নায়কের আসন তিনি কখনো পাননি। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে অসংখ্য দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন প্রয়াত সঞ্জীব।
১৯৬০ সালে সঞ্জীব কুমারের অভিনয় জীবন শুরু হয়। সে সময় নূতন প্রতিষ্ঠিত এক অভিনেত্রী। ১৯৬৯ সালে দেবী ছবির শ্যুটিংয়ের সময় নূতনের বিপরীতে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সঞ্জীব কুমার। সে সময় সেটেই রাখা একটি ম্যাগাজিন থেকে নূতন, তার আর সঞ্জীব কুমারের মধ্যকার প্রেমের মুখরোচক গল্প সম্পর্কে জানতে পারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাহিতা এবং এক সন্তানের মা নূতন শ্যুটিং সেটেই সঞ্জীব কুমারকে চড় মারেন। পরে এক সাক্ষাৎকারে নূতন জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে প্রেমের সম্পর্ক হিসেবে প্রচারের পিছনে সঞ্জীবের হাত ছিল বলে তিনি জানতে পারেন। তাই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তবে এই গুঞ্জন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ নূতনের জায়গায় উঠে এসেছিল হেমা মালিনীর নাম।
বন্দিনী, সুজাতা, সওদাগর, আনাড়ি, তেরে ঘর কে সামনে-র মতো, বলিউডে বহু সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেন নূতন। এত জনপ্রিয়তা, অর্থ-যশ সত্ত্বেও নূতন ব্যক্তিগত জীবনে উদাসীন ছিল বলে শোনা যায়। মা-এর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় তার। নেভি অফিসার রজনীশ বহেলের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি ছবির জগতকে বিদায় জানান। কিন্তু ছেলে মণীশ বহেলের জন্মের পরও লোভনীয় সব প্রস্তাব পেতে শুরু করলে, আবারও ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু তার জীবনের উদাসীনতা কাটতে চায় না। যা পরে অসুস্থতায় আকার নিতে থাকে। পরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ১৯৯১ সালে তিনি প্রয়াত হন।