কলকাতা , ২৯ জুন – শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে তলব করেছে ইডি। শুক্রবার বেলা ১১ টায় সায়নীকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আর দেখা মিলছে না সায়নী ঘোষের । তাঁর দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। তৃণমূলের নেতাদেরও অনেকে সায়নীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। আরও জানা গেছে , একাধিক কর্মসূচি বাতিল করেছেন তিনি। কোথাও কোনও প্রতিক্রিয়াও দেননি।
কিন্তু এর পর সায়নীকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। পূর্ব বর্ধমানের প্রচারেও যাননি তিনি। পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন , ‘‘প্রচারে সায়নী আসবেন বলে দলের তরফে সব রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। আমাদের জানানোও হয়নি।’’ বৃহস্পতিবার ইদ উৎসবের কারণে তৃণমূলের ‘তারকা’ প্রচারকদের প্রচারে পাঠানো হয়নি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই সায়নীকে বৃহস্পতিবার দলের হয়ে ভোটপ্রচারে নামতে হয়নি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ইডির নোটিস পাওয়ার পর তিনি কেন একেবারে বেপাত্তা হয়ে গেলেন! বুধবার সায়নীর বাবা জানিয়েছিলেন, তিনি সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। কোথায় গিয়েছেন, তা তাঁর জানা নেই।
তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, সায়নী যদি ইডির তলবে হাজিরা না দেন, তা তাঁর দলকেও জানানো উচিত। প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ জেল হেফাজতে রয়েছেন । তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের কারণেই সায়নীকে ইডি তলব করেছে বলে খবর। কুন্তলের সঙ্গে সায়নীর কোনও রকম আর্থিক লেনদেন ছিল কি না, থাকলেও তা কোন পর্যায়ের, সেগুলির বিষয়েই এই অভিনেত্রী-নেত্রীকে জেরা করতে চায় তারা। কুন্তলের সঙ্গে সায়নী কয়েকটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে ।
২০২১ সালে সায়নীকে আসানসোল কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। তিনি বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের কাছে হেরে যান। তবে তার পরেই সায়নীকে যুব তৃণমূলের সভানেত্রীর পদে বসানো হয়। অভিনয়ের পাশাপাশি সায়নী রাজনীতির ক্ষেত্রেও সমান গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন বলে দলের একাংশের দাবি।
এদিকে সায়নী ঘোষের খবর না মেলায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “উনি বোধ হয় ভয় পেয়েছেন। এরপর সিনেমা বেরবে সায়নী অন্তর্ধান রহস্য।”
এখন দেখার, শুক্রবার সায়নী সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন কি না ।