দিল্লি, ১৫ ফেব্রুয়ারি — এ যেন শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড-২। শ্রদ্ধার মতোই প্রেমিকের হাতে খুন হন নিক্কি। তার দেহ টুকরো টুকরো করে নিজের ধাবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখে প্রেমিক সাহিল গেহলট। সেই হত্যাকাণ্ডেও এবার পরতে-পরতে খুলছে রহস্য-রোমাঞ্চ। বুধবার নিক্কির বাবা দাবি করেন, সাহিলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের কথা জানতেনই না তিনি। এমনকী তিনি মেয়ের খুনের কথাও পুলিশের থেকেই জানতে পারেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি, দিল্লির নজফগড়ের মিত্রাও গ্রামের বাইরে একটি ধাবার ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয় নিক্কির দেহ। তদন্তে নেমে পুলিশ ধীরে ধীরে খুনের পর্দাফাঁস হচ্ছে। প্রেমিক সাহিলকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১০ ফেব্রুয়ারি নিক্কিকে নিয়ে গোয়া যাওয়ার প্ল্যান ছিল সাহিলের। তার আগেই নিক্কি এক বন্ধুর থেকে জানতে পারেন, অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে সাহিলের। সাহিলের পরিবার মেনে নেয়নি নিক্কিকে। তার পরিবার অন্য মেয়ের সঙ্গে সাহিলের বিয়ে স্থির করে। ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি বিয়ে ও রিশেপশনের দিন ঠিক হয়। তাই গোয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে দেন নিক্কি।
নিজের বিয়ের কথা পুলিশের কাছে অস্বীকার করে সাহিল। সে জানায়, নিক্কিকে শান্ত করতে সে হিমাচলে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। নিক্কি রাজি হয়। গাড়িতেও দু’জনের ঝগড়া শুরু হয়। সাহিলের বিয়ের খবর নিয়ে সন্দেহ করছিল নিক্কি। তার মুখ বন্ধ করতেই সাহিল গাড়িতে রাখা ডেটা কেবিল নিক্কির গলায় পেঁচিয়ে ধরে। শ্বাসরোধ করে খুন করে তাকে। এরপর মৃতদেহ নিয়ে ফিরে আসে নজফগড়ের ওই ধাবায় এবং সেখানে ধাবার ফ্রিজে নিক্কির দেহ লুকিয়ে রেখে আসে।