পাশাপাশি তিনি এদিন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পোল্যান্ড ও জাপান বাংলায় বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে আশাবাদী। একইসঙ্গে বাংলায় হাইস্পীড ইন্টারনেটের সুবিধে দিতে টেলিকম সংস্থাগুলিও এগিয়ে এসেছে বলে তিনি জানান। বুধবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এক আলোচনাসভায় যোগ দেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, প্রাক্তন মুখ্য সচিব এবং ওয়েবেল-এর চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, তথ্যপ্রযুক্তি সচিব রাজীব কুমার এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
গত কয়েক বছরে এবং এমনকি কোভিড-১৯ মহামারীতেও শহরে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে বিভিন্ন আইটি সংস্থা। এমনটাই দাবি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তাদের। ইনফোসিস , ইনফোটেক , হেক্সাগণ, ক্যালসফ্ট -এর মতো আইটি জায়ান্টদের এই সমস্ত ক্ষেত্রে প্রচুর কাজের সম্ভাবনাও ও সুযোগও তৈরী হয়েছে। বিশেষত সিলিকন ভ্যালি প্রজেক্টে সেক্টর, নিউ টাউনের আইটি হাব। এই আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন শেখর শর্মা, এনটিটি গ্লোবাল ডেটা সেন্টার এবং ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও, সুরেশ জি মেনন, ডিলিজেন্টা লিমিটেডের বোর্ডের সিইও এবং পরিচালক, টিসিএস-ইউকে, নচিকেত দেশপান্ডে , ক্যালসফ্ট-এর অনুপম ভিডে এবং অন্যান্য আরো অনেকে। আলোচনায় তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবায় আরও বিনিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন তাঁরা ।
মোবাইলের মাধ্যমে সারা দেশে ইন্টারনেট ডেটা খরচ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রাজ্য একটি ইন্টারনেট কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হয়ে উঠেছে যা আইটি, আইটিইএস এবং বিপিও-তে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সংযোগের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে বলে রাজ্যের শিল্প উদ্যোগের আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মনে হয়েছে। যদিও আইটি বিভাগ ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ ইন্টারনেট কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন নীতি, ২০২৩ ঘোষণা করেছে।
ওয়েবেল ( WEBEL ), ভারতের ডেটা সিকিউরিটি কাউন্সিল, অ্যাডামস টেকের মতো চারটি আইটি কোম্পানির সাথে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে।