রাশিয়ার একে-২০৩ রাইফেল এবার মেড ইন ইন্ডিয়া  

দিল্লি, ১৯ অক্টোবর– যেনতেন প্রকারে ভারতের সীমান্ত হাতাতে তৈরী একদিকে চীন, অন্যদিকে পাকিস্তান। তাদেরকে প্রতিদিন জবাব দিয়ে চলেছে ভারত। শত্রুদের নিত্য নতুন হামলা থেকে বাঁচতে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক অস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে। দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের চেহারাও। সেইরকম অস্ত্র আমদানি করতে হয় নানান দেশ থেকে। কিন্তু এবার সেই অস্ত্রের চাহিদা মিটবে ভারতেই। চললে চলতি বছরের শেষে ভারতেই তৈরি হবে রাশিয়ার অত্যাধুনিক একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল। একে ৪৭-এর ডিজাইন বানিয়েছিলেন রুশ বিশেষজ্ঞ মিখাইল কালাশনিকভ। রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেলের এই উন্নততর সংস্করণ বানানোরই প্রস্তুতি জোরকদমে চলছেউত্তরপ্রদেশের অামেঠিতে। 

বর্তমানে ভারতীয় সেনার পদাতিক ব্যাটেলিয়ন এবং রাষ্ট্রীয় রাইফেল্‌সের অস্ত্র হিসাবে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ‘ইনসাস রাইফেল’ ব্যবহৃত হয়। স্বয়ংক্রিয় একে-২০৩ রাইফেলের উৎপাদন শুরুর পর থেকে ইনসাস রাইফেলের বদলে ভারতীয় সেনার হাতে উঠবে এটিই। একে সিরিজের ৭.৬২ মিলিমিটার কার্তুজ অনেক বেশি প্রাণঘাতী। কার্যক্ষমতাও বেশি। একে-২০৩ থেকে ছোড়া গুলির গতিও অনবদ্য। ট্রিগারে চাপ দেওয়ার পর সেকেন্ডে প্রায় ৭৩০ মিটার জোরে ছুটে যেতে পারে এর কার্তুজ। এই রাইফেল থেকে মিনিটে প্রায় ৭০০ রাউন্ড গুলি ছোড়া সম্ভব।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে সেনা। এই সঙ্গে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেনা জওয়ানদের সুরক্ষার দিকটিতে। সামরিক সরঞ্জামগুলি দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করেছে ভারতীয় সংস্থা। গত আগস্টেই ভারতীয় সেনার হাতে ‘ফিউচার ইনফ্যান্ট্রি সোলজার অ্যাজ এ সিস্টেম’ অথবা এফ-ইনসাস তুলে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

এফ-ইনসাস ভারতীয় সেনায় যুদ্ধাস্ত্রের আধুনিকীকরণে বড়সড় পদক্ষেপ বলা বাহুল্য। সেনাকে নিরাপদ রাখতেও এই নয়া পদ্ধতি। হাতের রাইফেল থেকে শুরু করে মাথার হেলমেট, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এফ-ইনসাস পদ্ধতি আগামী দিনে হয়ে উঠবে ভারতীয় সেনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।