দিল্লি, ১৫ জুলাই– চাঁদের দিকে রওনা দিয়েছে চন্দ্রযান। সেই চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে নাবার পর শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ক্ষান্ত থাকবে না। চাঁদের বুকে এঁকে দেবে ভারতের চিহ্ন। এই পরিকল্পনার শুরু সেই ২০০৯ এর চন্দ্রযান-২এর উৎক্ষেপণের আগে। টুইটারে মজা করে চাঁদে পাঠানোর মত ৫টি জিনিসের তালিকা চাওয়া হলে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে (ইসরো) দীর্ঘ তালিকা পাঠায় বহু মানুষ।
গঙ্গাজল থেকে ব্যাকটিরিয়া, দেশের মাটি থেকে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের ছবির মত জিনিসের তালিকার সঙ্গেই ছিল অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর প্রতীকও। আর সেই তালিকা থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর প্রতীক। রোভার প্রজ্ঞানে পাঠানো হয়েছে ‘অশোক স্তম্ভ’ এবং ইসরোর প্রতীকের ছাপ। যার মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে এঁকে দেওয়া হবে মৌর্য সম্রাট অশোক নির্মিত সারনাথের সেই তিন সিংহ। আঁকা হবে ইসরোর প্রতীকও।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে প্রায় ৪০ দিন পরে, আগামী ২৩ বা ২৪ অগস্টের মধ্যে চাঁদের মাটিতে নামতে পারে চন্দ্রযান-৩-এর সৌরচালিত ল্যান্ডার বিক্রম। সেখান থেকে সৌরচালিত রোভার প্রজ্ঞান বেরিয়ে চাঁদের মাটি ছোঁবে। চাঁদের মাটির চরিত্র, বিভিন্ন খনিজ পদার্থের উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি, যে অঞ্চল দিয়ে প্রজ্ঞান চলাচল করবে সেখানকার চাঁদের জমিতে অশোকস্তম্ভ এবং ইসরোর প্রতীক আঁকা হবে।
শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর। কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্যের জন্য পাড়ি দিতে হবে আরও অনেকটা পথ। যদি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ থেকে ল্যান্ডার বিক্রম সফল ভাবে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারে এবং তার পরে রোভার প্রজ্ঞানকে সঠিক ভাবে অবতরণ করাতে পারে, তবে ভারতীয় মহাকাশ অভিযানের ইতিহাস নতুন মাত্রা পাবে।