শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বহু চর্চিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন । বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ভারতে উপস্থিত রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নানা বিষয়ে কথা বলেন। যেখানে উঠে আসে খলিস্তানি প্রসঙ্গও। সুনাকের স্পষ্ট বক্তব্য, ”খলিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করছে ব্রিটেন। ইতিমধ্যেই আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে কথা হয়েছে ভারতের। সন্ত্রাসবাদকে গোঁড়া থেকে নির্মূল করার জন্য দু’দেশের মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান করা হচ্ছে। খলিস্তানি সন্ত্রাসকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”
প্রসঙ্গত, ‘খলিস্তানি সন্ত্রাস’ নিয়ন্ত্রণে তহবিল গড়েছে ব্রিটেন। গত আগস্ট মাসে তিনদিনের ভারত সফরে আসেন ব্রিটিশ নিরাপত্তা মন্ত্রী টম টুজেনডাট। ব্রিটিশ দূতাবাসের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নিরাপত্তা মন্ত্রী টম টুজেনডাট। সেখানেই খলিস্তানি সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে নতুন তহবিল গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।” জানা গিয়েছে, নতুন তহবিলের জন্য প্রাথমিকভাবে ৯৫ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে কার্যত তাণ্ডব চালায় খলিস্তানিরা। দপ্তরের সামনে জাতীয় পতাকা টাঙানো ছিল, সেটি খুলে ফেলে খলিস্তানি পতাকা লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না দূতাবাসের সামনে, সেই নিয়ে ব্রিটিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে ভারত। মধ্যরাতেই তলব করা হয় ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে।