পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকশো মানুষ পূর্ব ইম্ফল এবং পশ্চিম ইম্ফলের বেশ কিছু থানা ঘেরাও করেন। অভিযোগ, জোর করে থানায় ঢুকে হামলাও চালানো হয়। তাদের দাবি, ধৃত পাঁচ জনকে কোনও শর্ত ছাড়াই মুক্তি দিতে হবে। বিক্ষোভকারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে থানার সামনে স্লোগান দিতে থাকে। পূর্ব ইম্ফলের অ্যান্ড্রো এবং পরোমপাট থানায় হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, পশ্চিম ইম্ফলের সিংজামেই, কোয়াকেইথেল এবং মায়াংয়ের বেশ কয়েকটি থানার আউটপোস্টে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথ বাহিনী পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফলে কার্ফু জারি করে। ইম্ফলের দুটি জেলায় কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেয় মণিপুর সরকার। রাস্তায় টহল দিচ্ছে র্যাফ।
পাঁচ সশস্ত্র যুবককে শনিবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই গ্রেফতারির পর থেকেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী ইম্ফল-সহ মণিপুরের বেশ কিছু জায়গায়। মেইতেইদের দাবি, যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন। ওই স্বেচ্ছাসেবীরা না থাকলে গ্রামগুলি রক্ষা করার কেউ থাকবে না। মণিপুরের পাহাড়ি এলাকায় এবং উপত্যকার সীমানাবর্তী অঞ্চলগুলিতে কুকিদের জঙ্গি সংগঠন রয়েছে।
পুলিশের পাল্টা দাবি, ধৃতদের সঙ্গে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। তারা এলাকার মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলত বলে অভিযোগ প্রশাসনের। পুলিশের আরও অভিযোগ, ধৃতরা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করত। প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র পুলিশের অস্ত্রভাণ্ডার থেকে লুঠ করা হয়েছিল।
ধৃত পাঁচ যুবকের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার মণিপুরে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধ ডাকে মেইতেইদের মহিলা সংগঠন এবং ইম্ফলের বেশ কিছু স্থানীয় ক্লাব। সেই বন্ধের ভাল সাড়া পড়েছিল ইম্ফলে। বৃহস্পতিবার ইম্ফলে থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়। তখনই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে, যার জেরে আবার ইম্ফলে কার্ফু জারি করতে হল প্রশাসনকে।