দিল্লি, ১৯ আগস্ট– ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে প্রয়োজন মেটানো যত সহজ সেই ঋণের বোঝা কমানো ঠিক ততটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় এক সময়। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ঋণগ্রহীতাদের কিছুটা অন্তত সুরাহা দিতে ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
শীর্ষ ব্যাঙ্ক তার নির্দেশে জানিয়েছে, যে কোনও গ্রাহক পরিবর্তনশীল সুদে ঋণ নিয়ে থাকলেও, তাঁকে সেই ধার স্থায়ী সুদের হারে শোধের সুযোগ দিতে হবে। সে জন্য কোনও চার্জ নেওয়া হলে, শুরুতেই তা জানাতে হবে স্পষ্ট। কোনও কারণে কেউ ইএমআই দিতে না পারলে, জরিমানা হিসেবে বাড়তি সুদ না চাপিয়ে বরং থোক টাকা গোনার সুযোগ দিতে হবে। সুদ বাড়লে, সেই বেড়ে যাওয়া সুদ মেটাতে মাসিক কিস্তির অঙ্ক নাকি ধার শোধের মেয়াদ নাকি এই দু’টিই মিলিয়ে-মিশিয়ে বাড়ানো সুবিধাজনক হবে, তা ঋণগ্রহীতার সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করতে হবে। সুযোগ দিতে হবে যে কোনও সময়ে পুরো বা আংশিক আগাম শোধের।
শুধু তা-ই নয়, আগামী দিনে ধার মঞ্জুর করার সময়ে সুদ বাড়লে, গ্রাহকের উপর কতটা চাপ পড়তে পারে (মাসিক কিস্তি এবং শোধের মেয়াদের সম্ভাব্য বৃদ্ধি সম্পর্কে) তা-ও গ্রাহককে পরিষ্কার জানাতে বলা হয়েছে। জরিমানা হিসাবে বাড়তি সুদ না নিয়ে থোক টাকা নেওয়ার বিষয়টি ১ জানুয়ারি থেকে চালু করতে হবে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। বাদবাকি নিয়ম কার্যকর করার ব্যবস্থা করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
ব্যাঙ্কিং মহলের দাবি, পরিবর্তনশীল সুদ মানে ব্যাঙ্ক তার হার বাড়ালে ঋণগ্রহীতাকে বেশি গুনতে হবে। কমালে তাঁদের আর্থিক বোঝা কমবে। স্থির সুদে ঋণ নেওয়ার অর্থ, তা কোনও পরিস্থিতিতেই বদলাবে না। বাজারে সুদ বাড়লেও বইতে হবে না তার চাপ।
সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য বক্তব্য, নতুন নিয়মে সুদ কমলে গ্রাহক তাতে স্থায়ী সুদের হার বেঁধে অনেকখানি সুবিধা নিতে পারবেন ঠিকই। তবে বর্তমানে চড়া সুদে যাঁরা খাবি খাচ্ছেন, তাঁদের সমস্যা মিটল না।