নিজস্ব প্রতিনিধি – প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ প্রচার শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কংগ্রেস শুরু করল ‘ম্যায় ভি বেরোজগার’ (আমিও বেকার) প্রচার। এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একটি ভিডিও, যেখানে দেখানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির দাবি কতটা মিথ্যা। বাস্তবের সঙ্গে যার মিল নেই। এই ভিডিওর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে মিডিয়া ক্লিপস যেখানে সাধারন মানুষ অভিযোগ জানাচ্ছেন মোদির আমলে কিভাবে কর্মসংস্থানের সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের প্রচার শুরু করতে গিয়ে দাবি করেছে বেকারি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর শাসনকালে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের কোন আশা নেই। মোদি তার রাজনৈতিক চমক দেখিয়ে ভারতের যুবক-যুবতীদের আসল ইস্যু থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন। তাই ভারতের এই যুবক যুবতীদের সামনে ‘ম্যায় ভি বেরোজগার’ বলা ছাড়া পথ নেই বলে টুইট করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস বারবার বিজেপিকে বেকারির প্রশ্নে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে। এই মাসের শুরুতে কংগ্রেস মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিল তিনি একাই দেশের চাকরির সুযোগ বিনষ্ট করেছেন। এবং বিজেপির অপর নাম হল বেকারি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল দেশে ক্রমশ বাড়তে থাকা বেকারি। কংগ্রেসের এই দাবির সত্যতা প্রমাণ করেছে সম্প্রতি একটি দৈনিকে প্রকাশিত ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিসের (এনএসএসও) একটি রিপোর্ট যেখানে বলা হয়েছে ২০১৭-১৮ সালে দেশে বেকারের সংখ্যা গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচাইতে বেশি। পরে এই সরকারি রিপোর্টের অস্তিত্বকে অস্বীকার না করে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার সাফাই দিয়েছিলেন এটা এনএসএসও’র খসড়া রিপোর্ট, ফাইনাল রিপোর্ট নয়। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘ফুহরার’ (হিটলারের অপর নাম)। রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, মোদি ২০১৪ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রতি বছরে ২ কোটি চাকরি দেবেন। কিন্তু মোদি যা দিয়েছেন, সেটি হলো জাতীয় বিপর্যয়।
কংগ্রেসের ‘ম্যায় ভি বেরোজগার’ আসলে মোদির ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’-এর পাল্টা প্রচার। ৩১ মার্চ অর্থাৎ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ প্রচারের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে দিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়ামে মিলিত হবেন। মোদির সঙ্গে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ, বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও সাতজন সাংসদ সহ বিজেপির বরিষ্ঠ নেতারা। কিন্তু তার আগে কংগ্রেসের ‘ম্যায় ভি বেরোজগার’ প্রচার কিন্তু চাপে ফেলে দিলো মোদির দলকে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।