লখনৌ ,১৮ ফেব্রুয়ারি — উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে চিতাবাঘের আক্রমণে মৃত্যু হল ১৪ বছরের এক নাবালিকার। শুক্রবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে মন্দির যাওয়ার পথে মেয়েটি চিতাবাঘের আক্রমণের মুখে পড়ে। চিতাবাঘকে দেখে চিৎকার জুড়ে দেয় ওই নাবালিকা। অদিতি নামে মেয়েটির মায়ের চেঁচামেচিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এলাকার মানুষ। চিতাবাঘটি পালিয়ে গেলেও গুরুতর জখম হয় মেয়েটি। তাকে তড়িঘড়ি একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়. শনিবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ছোটা কিরাটপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিল ওই নাবালিকা। চিতাবাঘের আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে অক্ষয় কুমার এবং টাইগার শ্রফের আসন্ন ছবি ‘বড় মিয়াঁ ছোট মিয়াঁ’-র মেক আপ শিল্পী শ্রাবণ বিশ্বকর্মা সম্প্রতি মুম্বাই ফিল্মসিটিতে একটি চিতাবাঘের দ্বারা আক্রান্ত হন. একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৭ বছর বয়সী শ্রাবনের বাইকে ছিল তার এক বন্ধু। তার বাই কের সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি চিতাবাঘের। তিনি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান. সেই সময় চিতাটি তাঁর আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করছিল। তখন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়.
অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স-এর সভাপতি সুরেশ শ্যামলাল গুপ্ত সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করেছি এবং তাদের বলেছি যে এই ধরনের ঘটনা বহুবার ঘটেছে। সর্বভারতীয় সিনে ওয়ার্কার্সের সভাপতি হিসাবে আমি জানতে চাই যে ফিল্ম সিটিতে বারবার আসা চিতাবাঘের হাত থেকে নিরাপত্তা কে দেবে? এখানে হাজার হাজার শুটিং হয়। আমি চাই সরকার এই দিকে নজর দিক”।
মুম্বাই ফিল্মসিটি তিনশ একর জমির উপর নির্মিত হয়. স্ট্রিট লাইটেরও অভাব রয়েছে, যে কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। গ্রামে হোক কিংবা শহরে লোকালয়ে চিতাবাঘের হানার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। খাদ্যের অভাবেই তারা লোকলয়ে ঢুকে পড়ছে, প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।