কোচি, ২৯ মে – ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে নিয়ে অস্বাস্থ্যকর এবং অবৈজ্ঞানিক সমস্ত রীতিনীতি বন্ধ হওয়া উচিত, পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের। কেরালা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ধর্মীয় ভাবাবেগের কারণেও যদি সেই রীতি পালন হয়ে থাকে, তাও তা বন্ধ হওয়া উচিত। এই পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি ভি জি অরুনের। বিচারপতি ভিজি অরুণ এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে ডঃ বিআর আম্বেডকরকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘ডঃ আম্বেডকর বলেছিলেন, সত্যিকারের ধর্মীয় রীতি যুক্তির ভিত্তিতে পালন করা উচিত। মানবিকতার স্বার্থে ধর্মীয় রীতি পালন করা উচিত। ধর্মে অন্ধবিশ্বাস থেকে কোনও রীতি পালন ঠিক নয়।’
বিচারপতি বলেন, সংবিধানের ২৫ নং ধারায় বলা হয়েছে যে একজন মানুষ নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচতে পারে এই দেশে। তবে সেই বিশ্বাসের কারণে জনসাধারণের যাতে সমস্যা না হয়, সমাজে যেন শান্তি বজায় থাকে। ধর্মীয় বিশ্বাসের থেকে জন্ম নেওয়া রীতি অমানবিক হলে তা পালন করতে দেওয়া যায় না। সংবিধানের ২১ নং ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি স্বাধীন ভাবে নিজের ধর্ম পালন করতে পারেন, পুজো, প্রার্থনা করতে পারেন। তবে তার সেই রীতির জন্য কোনও জীব হত্যা করা যায় না।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, অন্ধ বিশ্বাস থেকে জন্ম নিয়েছে পশু বলির মতো ধর্মীয় রীতি। এই রীতি বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, সংবিধানের ২১ এবং ২৫ নং ধারা অনুযায়ী ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে পশু বলি ধর্মীয় রীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও তা ঠিক নয়। এরপর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বিগত সময়ে ভারত অনেক ধর্মীয় রীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সতি দাহ, নরবলি এবং বাল্যবিবাহের মতো রীতি দেশে আইনত নিষিদ্ধ হয়েছে।