এদিন বৈঠক শেষে রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, আগের মতো রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশই রাখা হচ্ছে। যা খানিকটা অপ্রত্যাশিত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, এবারে রেপো রেট অন্তত ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হবে। কিন্তু ব্যাংকগুলি এবং ঋণগ্রহীতাদের কথা ভেবেই রেপো রেট আপাতত অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক ।
তবে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখলেও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিশেষ কোনও সুখবর শীর্ষ ব্যাংক শোনাতে পারেনি। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতির সূচক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশের থেকে এখনও অনেকটাই বেশি। আগামী বছরের জন্য মুদ্রাস্ফীতির হারের লক্ষ্যমাত্রাও কমিয়ে ৫.২ থেকে ৫.১ শতাংশ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক কয়েক বছরের আর্থিক পরিস্থিতি দেখলে দেখা যাবে গোটা বিশ্বেই আর্থিক অস্থিরতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে গত কয়েক দফায় বিপুল হারে রেপো রেট বাড়িয়েছে শীর্ষ ব্যাংক। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছ রেপো রেট। মে মাসে রেপো রেট বেড়েছিল ৪০ বেসিস পয়েন্ট। পরে জুনে ফের তা ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ে। সব মিলিয়ে গতবছর মে মাস থেকে ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে রেপো রেট। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে সেটা বাড়ানো হয়নি। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও বাড়ানো হল না। এর আগে রেপো রেট লাগাতার বাড়ার ফলে সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়ী থেকে ঋণগ্রহীতা সাধারণ মানুষ, সকলকেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে গিয়ে সেই সাধারণ মানুষের উপরেই আর্থিক চাপ বাড়ছিল। বাড়ি, গাড়ির ঋণের উপরে সুদের হারও টানা বাড়ছিল। সেই যন্ত্রণায় খানিকটা বিরাম দিল রিজার্ভ ব্যাংক। শীর্ষ ব্যাংকার এই সিদ্ধান্তে আপাতত ইএমআই বাড়ার সম্ভাবনা নেই।