বাংলার পঞ্চায়েত হিংসায় অ -বিজেপি দলগুলির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রবিশঙ্কর প্রসাদের 

কলকাতা, ১২ জুলাই – বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার কারণ অনুসন্ধানে বাংলায় এসে অ-বিজেপি দলগুলির উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রধান  তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। বাংলার নির্বাচনে হিংসার ক্ষেত্রে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের  মতে,  বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে জাতীয় দলগুলির সামনে তৃণমূলের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যে পঞ্চায়েত হিংসার তদন্তে বাংলায় উপস্থিত বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।টিমের প্রধান রবিশঙ্কর প্রসাদ বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “বাংলায় যা হিংসা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের লজ্জা। রাহুলজি, সীতারামজি আপনাদের কর্মীদের তো মারছে, ‌ আপনারা কিছু বলবেন না?” ঠিক একই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধির ‘মহব্বত কা দুকান’ কোথায় গেল? বাংলার নির্বাচনে হিংসা নিয়ে রাহুল গান্ধি নীরব কেন?”

রবিশঙ্কর বলেন, “৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাও চুপ আপনারা ?”  সেই একই বিষয়টি আরও একবার উস্কে দিলেন রবিশঙ্কর। তিনি বলেন, “এই সব না করে মমতাজি আপনি কটা আসন পেতেন?” তাঁর সংযোজন, “গোটা নিবাচন লজ্জা হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এই বাংলা কী হাল করেছেন মমতাজি?” রবিশঙ্কর প্রশ্ন তোলেন, “এত লাভ হয়েছে যখন, তখন কেন এত মৃত্যু ? ব্যালটবাক্স ফেলার কি দরকার ছিল?  ব্যালট পেপার ছিনতাই করার কি দরকার ছিল?”

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসার অভিযোগ উঠেছে। খুন হয়েছেন একাধিক বিরোধী দলের কর্মী। এই নিয়ে উত্তপ্ত বাংলা। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে হিংসার ছবি অব্যাহত গণনা পর্বেও। এখনো পর্যন্ত ৪৫ জন মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বারংবার অভিযোগের আঙুল তুলছে বিরোধীরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে বিজেপির চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সাংসদ রবিশংকর প্রসাদের নেতৃত্বে কলকাতায় পৌঁছয় বিজেপির এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পশ্চিমবঙ্গের যে সব জেলায় সন্ত্রাস, হিংসা খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেই সমস্ত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। বুধ ও বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। বুধবার কমিটির সদস্যরা যাচ্ছেন  হিঙ্গলগঞ্জ ও মিনাখাঁয়।