• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বাংলা ভোটে হিংসার সিবিআই তদন্তের দাবি রবিশঙ্করদের

দিল্লি, ২৬ জুলাই– বুধবার এ ব্যাপারে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ও অশান্তির ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি জানান, কেন্দ্রে শাসক দল বাংলায় যে তিনটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল, তারা সবাই পঞ্চায়েতে হিংসার ঘটনা নিয়ে গভীর তদন্তের সুপারিশ করেছে। কারণ, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উপর বাংলার মানুষেরই

দিল্লি, ২৬ জুলাই– বুধবার এ ব্যাপারে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ও অশান্তির ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি জানান, কেন্দ্রে শাসক দল বাংলায় যে তিনটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল, তারা সবাই পঞ্চায়েতে হিংসার ঘটনা নিয়ে গভীর তদন্তের সুপারিশ করেছে। কারণ, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উপর বাংলার মানুষেরই আর ভরসা নেই।

বিজেপি বাংলায় তিন দফায় সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। প্রথমে টিমে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। পরে মহিলা সাংসদদের একটি টিম পাঠানো হয়েছিল। তার নেতৃত্বে ছিলেন সাংসদ সরোজ পাণ্ডে। এর পরই তফসিলি জাতির সাংসদদের নিয়ে একটি টিম বাংলায় পাঠিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা।

রবিশঙ্কর প্রসাদ এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে অন্তত পাঁচ বার কলকাতা হাইকোর্ট আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পঞ্চায়েতে বিরোধীদের বহু জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কেউ মনোনয়ন পেশ করলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, মারধর করা হয়েছে। তার পরেও কেউ ভোট লড়লে নির্বাচনের দিন বুথে অশান্তি করে ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে। আর গণনায় বিরোধী এজেন্টদের মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের পঞ্চায়েতে জেতার এটাই নকশা।

রবিশঙ্করের সাংবাদিক বৈঠক শুনে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি সিবিআই-ইডি থেকেই পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই করতে পারত। বুথে ওদের লোক নেই। মানুষ ওদের চায় না। তাই ভোট পায়নি।” কুণালের কথায়, “জেপি নাড্ডারা যে টিম বাংলায় পাঠিয়েছিলেন, তার সবটাই ভেক। ওরা যেনতেনপ্রকারে সবেতে সিবিআই চায়। ভাবছে সিবিআই-ই ওদের ভোটে জেতাবে।”

সুনির্দিষ্ট ভাবে কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ দিতে চান রবিশঙ্কর, যেখানে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। বা বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে।