দিল্লি, ২৫ অক্টোবর – অযোধ্যায় রাম জন্মভূমিতে রামের মন্দির নির্মাণ ধৈর্যের জয় বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লির রামলীলা ময়দানে দশেরার অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সমাজের সব স্তরের মানুষ সেখানে রাবণের কুশপুতুল পোড়ানোর দৃশ্য দেখতে সেখানে একত্রিত হন। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে নবরাত্রি ও বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘আজ অপশক্তির বিরুদ্ধে শুভবুদ্ধির জয়ের সংকল্প গ্রহণের দিন।’ সেই সঙ্গে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের কথা ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আজ আমরা সৌভাগ্যবান যে দীর্ঘ অপেক্ষার পর অযোধ্যায় রাম জন্মভূমিতে ভগবান রামের মন্দির তৈরি হচ্ছে। এটি আমাদের ধৈর্যের বিজয়ের লক্ষণ।’ তাঁর আশা, আর কয়েক মাস পরেই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ শেষ হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘ আমরা যে রাম মন্দির নির্মাণ প্রত্যক্ষ করছি এটা আমাদের সৌভাগ্য। পরের বার অযোধ্যায় রাম নবমীর দিন রামনবমীর দিন রাম মন্দিরে যে রামনাম উচ্চারিত হবে তা পৃথিবীতে শান্তি নিয়ে আসবে। এই নির্মীয়মান মন্দির কয়েক শতাব্দী ধরে ভারতীয়দের ধৈর্য ধরে রাখার ফল। ‘ তিনি বলেন, ‘ রাম মন্দিরে ভগবান রামের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হতে আর কয়েক মাস বাকি। রামের আগমন হতে চলেছে।’ মঙ্গলবার নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত জানান, রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে ২২ জানুয়ারি। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২০-র ৫ অগাস্ট মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীই।
এদিনও বিরোধীদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। রাবণের বিনাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ এটা শুধু রাবণের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো নয়, যে শক্তি দেশের ঐক্য নষ্ট করতে চায় তাদের বিনাশের বার্তাও বহন করে। ‘ তিনি আরও বলেন, ভারতে অস্ত্রপুজো করা হয় অন্যের জমিকে দখল করার জন্য নয় , নিজেদের জমি রক্ষা করার জন্য।’
সূত্রের খবর, রাম মন্দির উদ্বোধনকে সামনে রেখে অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দশ হাজার মানুষ উদ্বোধনের দিন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেদিন অযোধ্যায় হাজির থাকবেন। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রচার এখন তুঙ্গে। তার আগে হিন্দুত্বের অস্ত্রে শান দিয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।