ভারত:- পশ্চিমবঙ্গে রেশন দুর্নীতি নিয়ে বাম আমলে একাধিকবার এই অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেস এরাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভুয়ো রেশন কার্ড ধরাও পড়েছে। বাতিল হয়েছে অনেক রেশন কার্ড। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে কেওয়াইসি জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। যদি কেউ এই নির্দেশিকা অমান্য করেন, তাহলে তাঁর রেশন কার্ড বাতিল হয়ে যাবে। রেশন কার্ড চালু রাখতে হলে আধারের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ করতেই হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট পরিমাণে আয় বা সম্পত্তির অধিকারী হলেও বাতিল হয়ে যেতে পারে রেশন কার্ড। শুধু যাঁরা রেশন পাওয়ার যোগ্য এবং যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদেরই এই প্রকল্পের আওতায় রাখা হচ্ছে। বাকিদের বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতি মূলত হয় ভুয়ো কার্ড এবং খাদ্যপণ্যের পরিমাণ নিয়ে। অনেক অসাধু রেশন ডিলার ভুয়ো কার্ড দেখিয়ে খাদ্যপণ্য বাইরে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। আবার অনেক সময় গ্রাহকদের নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম খাদ্যপণ্য দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। সূত্রের খবর, রেশন কার্ডের অধিকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যিনি যে রেশন ডিলারের কাছ থেকে খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করেন সেখানে গিয়ে কেওয়াইসি জমা দিতে হবে। যিনি এই নথি জমা দেবেন না, তিনি ১ নভেম্বর থেকে রেশন পাবেন না। সংশ্লিষ্ট রেশন কার্ডটি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে কেওয়াইসি জমা দেওয়ার পরেই ফের চালু হবে রেশন কার্ড। রেশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে খাদ্য দফতর। রেশন ডিলারদের পাশাপাশি রেশন কার্ডধারীদেরও নজরে রাখা হচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমাণে জমির মালিক হলে রেশন ব্যবস্থার সুবিধা পাওয়া যাবে না। নিজস্ব বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাড়ি, ট্র্যাক্টর, আগ্নেয়াস্ত্রর লাইসেন্স থাকলেও রেশন পাওয়া যাবে না। এই ধরনের ব্যক্তিদের রেশন কার্ড জমা দিতে হবে। তাঁরা যদি সেটা না করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। করোনা অতিমারী এবং লকডাউনের সময় রেশন ব্যবস্থার সুবিধা পেয়েছেন সারা দেশের কোটি কোটি মানুষ। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এই ব্যবস্থা বিশেষ উপকারী ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সেই কারণেই রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতি দূর করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার।