রাজীবের হত্যাকারীদের মুক্তির বিরুদ্ধে শুনানির সম্ভাবনা  ওপেন কোর্টে 

দিল্লি, ২১ নভেম্বর– বেশিদিন মুক্তির স্বাদ বোধহয় নেওয়া হবে না সদ্য মুক্তি পাওয়া রাজীব গান্ধির হত্যাকারীদের।  সুপ্রিম কোর্ট তাদের মুক্তি দিলেও সর্বোচ্চ আদালতের সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আদালত সূত্রের খবর, দ্রুত এই মামলার শুনানি করা হবে।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মুক্ত আদালত বা ওপেন কোর্টে মামলার শুনানি করা হবে। সাধারণত, রিভিউ পিটিশন বা রায় পর্যালোচনার মামলায় বিচারপতিরা অফিস চেম্বারে সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষকে ডেকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। কিন্তু বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে সর্বোচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ধারাবাহিক শুনানির পর রায় ঘোষণা করা হবে। শুনানির সময় সংবাদমাধ্যম সহ আগ্রহীরা এজলাসে থাকতে পারবেন।

যদিও ভারতে রিভিউ পিটিশনের মামলায় রায় বদলের নজির খুবই নগন্য- ০.১ শতাংশ মাত্র। অর্থাৎ এক-দুটি ব্যতিক্রম ছাড়া আগের রায়ই বহাল থাকে।


প্রসঙ্গত, ৩১ বছর জেল খাতার প্রো গত ১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে মুক্তি পেয়েছে রাজীব গান্ধির হত্যাকারী ছয় আসামীকে।তাদের কয়েকজন শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা। তাদের চেন্নাইয়ের অদূরে শ্রীলঙ্কার উদ্বাস্তুদের জন্য চালু ত্রাণ শিবিরের রাখা হয়েছে। এর আগে মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট আর এক আসামীকে মুক্ত করে দেয়।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে ভারত সরকার সর্বোচ্চ আদালতে আর্জি জানিয়ে বলেছে, রায় পুনরায় খতিয়ে দেখা হোক। 

সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, এই মামলায় সরকারের বক্তব্য উপযুক্তভাবে তুলে ধরার সুযোগ মেলেনি। তাছাড়া রায়টিও ন্যায্য বিচারের দৃষ্টান্ত হতে পারে না।

অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বিচারে বিলম্বকে অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছে। আসামীদের মুক্তির আবেদন তামিলনাড়ুর একাধিক রাজ্যপাল ফেলে রেখেছিলেন। এভাবেই ১১ বছর কেটে যায়। আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্বকে সুপ্রিম কোর্ট ঘোরতর আপত্তির কারণ বলে উল্লেখ করে বলেছে, বিচার পাওয়ার অধিকার সকলের আছে। আর্জি দ্রুত বিবেচনা করতেই হবে।

এই মামলায় তামিলনাড়ু সরকার প্রথম থেকে আসামীদের মুক্তি দেওয়ার পক্ষে ছিল। ওই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অমিতানন্দ ত্রিবেদীর বক্তব্য, শুনানিতে দু’বার কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী আদালতে ছিলেন না। একদিন মামলা পিছিয়ে দিতে হয়। আর একদিন কেন্দ্রের তরফে কেউ না থাকায় আদালতে ভারত সরকারের বক্তব্য নথিভুক্ত হয়নি। এমন গুরুতর মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাবেই স্পষ্ট এই বিষয়ে গোড়ায় তাদের উদ্যোগের অভাব ছিল।