• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাজভবনের নির্দেশ ‘অবৈধ’ , শিক্ষা দফতর  চিঠি দিল রাজভবনকে

কলকাতা, ৪ সেপ্টেম্বর –   শনিবার রাজভবনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকর্তা উপাচার্য। তাঁর নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও অন্যান্যরা। সরকারি নির্দেশ মানতে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক শুরু। এবার শিক্ষা দফতর রাজভবনকে চিঠি দিল।  রাজভবনের নির্দেশ ‘অবৈধ’ বলে উল্লেখ করেছে রাজ্য। রাজভবনকে দেওয়া চিঠিতে স্পষ্ট

কলকাতা, ৪ সেপ্টেম্বর –   শনিবার রাজভবনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকর্তা উপাচার্য। তাঁর নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও অন্যান্যরা। সরকারি নির্দেশ মানতে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক শুরু। এবার শিক্ষা দফতর রাজভবনকে চিঠি দিল।  রাজভবনের নির্দেশ ‘অবৈধ’ বলে উল্লেখ করেছে রাজ্য। রাজভবনকে দেওয়া চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা না বলেই এ ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপাল তথা আচার্য শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে কখনই এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করতে পারেন না।

উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর রাজভবনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্যই হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর নির্দেশেই কাজ করবেন সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য কর্তারা। তাঁরা সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয়।  আর আচার্য যেহেতু শিক্ষাগত প্রধান তাই তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করে চলবেন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রাররা।

ওয়াকিবহালের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সরকারি ‘ক্ষমতা’ খর্ব করতেই এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই বিতর্কের মাঝেই রবিবার রাতে আচমকাই রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এদিনের শিক্ষা দফতরের চিঠিতে সেই কথাও উল্লেখ করা হয়। সেখানেও বলা হয়েছে, শিক্ষা দফতরের অনুমতি ছাড়াই নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যপাল।  রাজভবনের নতুন বিজ্ঞপ্তি ও পাল্টা রাজ্যের চিঠি সেই সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করল।