খড়্গপুর , ৭ এপ্রিল – কুড়মিদের আন্দোলনের জেরে শুক্রবার খড়্গপুর ডিভিশনে আপ-ডাউনের ৬৯টি ট্রেন বাতিল করা হয়। এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হয় আপ লাইনে ২৫টি এবং ডাউনে ১৭টি। সেই তালিকায় ভাস্কো ডা গামা-জসিডি এক্সপ্রেস, সেকেন্দ্রাবাদ-পটনা এক্সপ্রেস, এলটিটি-রাঁচী এক্সপ্রেস, আলাপ্পুঝা-ধানবাদ এক্সপ্রেস। বাতিল করা হয় দুরন্ত এক্সপ্রেসও। এ ছাড়াও আপ ও ডাউনে ৯টি করে প্যাসেঞ্জার ট্রেনও বাতিল করা হয়। ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে ডাউন লাইনের ৭টি ট্রেন।শনিবারও ১৫টি ট্রেন বাতিলের কথা জানিয়েছে রেল।যার জেরে দূরদূরান্তের যাত্রীরা খড়্গপুরে পৌঁছে বিপাকে পড়েন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে কুড়মি অবরোধ রেল অবরোধ অব্যাহত। যার জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দূরের রেলযাত্রীরা। নিজেদের অবস্থানে অনড় কুড়মিরা জানিয়ে দেন দাবি না মানা হলে তাঁদের আন্দোলন বাড়বে। যার জেরে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
‘রেল টেকা, ডহর ছেঁকা’ কর্মসূচিতে বুধবার থেকে খেমাশুলিতে শুরু হয়েছে জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধ। মঙ্গলবার থেকে খেমাশুলিতে ‘ঘাঘর ঘেরা’ কর্মসূচিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করছে কুড়মি সমাজ, পশ্চিমবঙ্গ। তাঁদের দাবি, তফসিলি উপজাতি ও সারনা ধর্মের স্বীকৃতি। এই দাবিতেই গত সেপ্টেম্বরে টানা ৬ দিন এই খেমাশুলিতেই জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধ করে তারা। এ বারের অবরোধে সরাসরি মহারাষ্ট্র-পশ্চিমবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। জট কাটাতে বুধবার খেমাশুলির অদূরে কলাইকুন্ডায় কুড়মি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। তবে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। ফলে কুড়মিদের আন্দোলন না ওঠা পর্যন্ত ব্যাহত হবে রেল পরিষেবা।