• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ফের তাক মোদি সরকারকে, ‘স্যুট বুটের সরকার’ বলে তোপ দাগলেন রাহুল 

দিল্লি, ১৪ এপ্রিল – মোদি -মন্তব্যের জেরে প্রথমে জেলের সাজা,  পরে লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ – দুই জোড়া ফলার মধ্যে থেকেও আবার কটাক্ষ রাহুল গান্ধির। ফের তাঁর নিশানায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার টুইটে জিনিসপত্রের আকাশ ছোঁয়া দাম এবং দেশবাসীর আয় কমে যাওয়া নিয়ে ফের সরব রাহুল। তাঁর বক্তব্য , স্যুট বুটের সরকার মানুষের করের টাকায় নিজেদের

দিল্লি, ১৪ এপ্রিল – মোদি -মন্তব্যের জেরে প্রথমে জেলের সাজা,  পরে লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ – দুই জোড়া ফলার মধ্যে থেকেও আবার কটাক্ষ রাহুল গান্ধির। ফের তাঁর নিশানায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার টুইটে জিনিসপত্রের আকাশ ছোঁয়া দাম এবং দেশবাসীর আয় কমে যাওয়া নিয়ে ফের সরব রাহুল। তাঁর বক্তব্য , স্যুট বুটের সরকার মানুষের করের টাকায় নিজেদের কোষাগার এবং বন্ধুদের পকেট ভরছে। বিপরীতে , মানুষের আয় প্রতিদিন কমছে।

মানহানির মামলায় তাঁর সাজা মকুবের আর্জি নিয়ে গুজরাটের সুরাট আদালতে মামলার শুনানি চলছে। তারই মধ্যে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধি। এক সমীক্ষার উল্লেখ করে বলেন, ২০১৬ থেকে ‘২১  এই পাঁচ বছরের মধ্যে দরিদ্রদের আয় কমেছে ৫০ শতাংশ। মধ্য আয়ের মানুষের রোজগার কমে হয়েছে ১০ শতাংশ। অন্যদিকে, ধনীদের রোজগার বেড়েছে ৪০ শতাংশ। রাহুলের এই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি  সরকারকে তাক করে  তোপ দেগেছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, গরিব মানুষ এই সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি বিপন্ন।

রাহুল বৃহস্পতিবার আবার মোদি  সরকার সম্পর্কে ‘স্যুট বুট কি সরকার’ শব্দ কয়টি ব্যবহার করলেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া ১০.লাখ টাকা দামের জ্যাকেট নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুল বোঝাতে চান, মোদি সরকার ধনীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই আছে ।

কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের পর থেকে রাহুলের মুখে এই কথা আর শোনা যায়নি। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ‘গরিবি হটাও’ এর নামে ‘গরিব হটাও’ অভিযান শুরুর অভিযোগ শোনা গেলেও ‘স্যুট বুটের সরকার’ কথাটি অনুচ্চারিত ছিল।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত আক্রমণের ক্ষেত্রে রাহুলের সতর্ক আরও হওয়া প্রয়োজন। ‘স্যুট বুটের সরকার’ যথার্থ রাজনৈতিক আক্রমণ বলেও মনে করে রাজনৈতিক মহল। 

এদিকে বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধির শুনানি অসম্পূর্ণ থাকল। সুরাটের  আদালতে কয়েক ঘন্টা ধরে দু’ পক্ষের যুক্তির লড়াই চলার পর বিচারক পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ২০ এপ্রিল। আবার অপেক্ষা সাত দিন , সেইসঙ্গে বহাল থাকল কংগ্রেস নেতার সাজা।