দিল্লি, ৫ জুলাই– দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোট। চরম ব্যস্ততা প্রতিটি দলে। লোকসভা ভোটের আগে সমস্ত ত্রুটি শুধরে নিতে আগেই মন্ত্রিসভা ও সংগঠনের ব্যাপক রদবদল শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এবার সেই একই ছবি হাত শিবিরেও। আর কোনও ঠেকনা দেওয়া নয়। ‘অভি করো’ নীতিতে পরিচিত ধারার বাইরে আসার চেষ্ঠায় কংগ্রেস। আর সেই নীতিতেই দলের অন্দরে পৌঁছে দিতে হাজির সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধি । দেশজুড়ে সংগঠন চাঙ্গা করতে রাজ্য ধরে ধরে বৈঠক শুরু করছেন দলের এই দুই শীর্ষনেতা।
আগেই রাজস্তান, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়ে বৈঠক হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার মিজোরামের প্রদেশ নেতৃত্বকে দিল্লি তলব করে বৈঠক করেন রাহুল ও খাড়গেরা। রাজ্য নেতৃত্বকে এখনই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আকবর রোড সূত্রে খবর। বিজেপি বিরোধী প্রচার তুঙ্গে নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। লোকসভার আগে কংগ্রেসের কাছে অবশ্য মনিপুর বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লোকসভার আগে মিজোরামেও বিধানসভা নির্বাচন। সেরাজ্যে এবার যেভাবে হোক ক্ষমতায় ফিরতে ফিরতে চাইছে কংগ্রেস ।
সূত্রের খবর কংগ্রেস তার নানা ভরাডুবি থেকে শিক্ষাই এবার এই ম্যারাথন বৈঠকের পেছনে কাজ করছে। কারণ নানান পর্যলোচনার পর কংগ্রেস নেতৃত্বরা জেনেছে তাদের শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যেসই ডুবিয়েছে দলকে। তাই সভাপতি বদলের সঙ্গে পাল্টেছে কংগ্রেসও । কোনও কাজ ফেলে রাখা উপায় নেই নেতৃত্বের। প্রতিদিনই রাজ্য ধরে ধরে প্রদেশ সভাপতি ও পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিচ্ছেন দলের নয়া সভাপতি। সেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় বসছেন খাড়গে, রাহুল ও কে সি বেনুগোপালরা।
তবে শুধু নিজেদের ত্রুটি শুধরানোই নয়, বিজেপিকে ঠেকানোও প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের কাছে। কিভাবে বিজেপিকে আটকাতে হবে সেই রণকৌশলও ঠিক করে দিচ্ছে হাইকম্যান্ড। এদিন মিজোরামের প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। মিজোরাম নেতৃত্বকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাদ দিয়ে সকলকে এক হয়ে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সামিল হতে হবে।