• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ছেলেকে বিহারের গদিতে বসাতেই রাহুলই প্রধানমন্ত্রী মুখ ভঞ্জনা লালুর, ক্ষুব্ধ নীতীশ

পটনা, ৪ সেপ্টেম্বর– দিল্লি মসনদ থেকে বিজেপি সরকারকে সরাতে ২৬ টি দল মিলে গড়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। দেশের প্রধান-প্রধান বিরুদ্ধই দলগুলির প্রথম সারির নেতারা রয়েছেন এই জোটে। গান্ধি পরিবার, মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেজরিওয়াল, নীতিশ কুমার, লালু প্রসাদ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সঙ্গে তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছে তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্রের প্রথম সারির নেতারাও। এই ইন্ডিয়া জোটের

পটনা, ৪ সেপ্টেম্বর– দিল্লি মসনদ থেকে বিজেপি সরকারকে সরাতে ২৬ টি দল মিলে গড়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। দেশের প্রধান-প্রধান বিরুদ্ধই দলগুলির প্রথম সারির নেতারা রয়েছেন এই জোটে। গান্ধি পরিবার, মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেজরিওয়াল, নীতিশ কুমার, লালু প্রসাদ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সঙ্গে তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছে তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্রের প্রথম সারির নেতারাও। এই ইন্ডিয়া জোটের ইতিমধ্যেই ৩টি বৈঠক সারা হয়েছে দেশের তিনটি রাজ্যে। কিন্তু তৃতীয় বৈঠকেও বেরিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ার নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী মুখ নিয়ে বিবাদ। রাহুল থেকে নীতিশ-কেজরিওয়াল সবাইয়াকেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখতে চাইছে তাদের দল। ফলে ইন্ডিয়া জোটের আগাম ভবিষ্যৎ বেশ জটিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর এরই মধ্যে মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পর বিহারেও শরিকি দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে চলে এসেছে রাজ্যের শাসক জোটের প্রধান দুই শরিক লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের মধ্যে বিরোধ। বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ।

দুই দলের বিবাদের কারণ পাটনা, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ের বৈঠকে রাহুল গান্ধিকে নিয়ে লালুপ্রসাদের উচ্ছ্বাস। আরজেডি সুপ্রিমো নানা ভাবে বলার চেষ্টা করেন, রাহুল গান্ধিই বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী মুখ ।

সমস্যার শুরু পাটনা বৈঠকে। সেই বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে রাহুলকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়ে লালু বুঝিয়ে দেন কংগ্রেস নেতাই নরেন্দ্র মোদির  মোকাবিলায় বিরোধীদের তাস। বেঙ্গালুরু ও মুম্বইয়ের বৈঠকের পর বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাহুলের উদ্দেশে বলেন, আপনি এগিয়ে চলুন। আমরা আপনার পাশে আছি। আবার মুম্বইয়ের বৈঠক সেরে দিল্লি ফিরেই রাহুলকে বাড়িতে ডেকে লালুপ্রসাদ নিজের হাতে মাংস রুটি রান্না করে খাওয়ান।

লালুপ্রসাদের এই সব মন্তব্য এবং রাহুলকে খাতির করা নিয়ে তুমুল বিরোধ বেঁধেছে আরজেডি ও জেডিইউ’র মধ্যে। যদিও এই বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ নীতিশ। কিন্তু নীতীশের দলের বিধায়ক গোপাল মণ্ডল আরজেডি নেতার লাগাতার রাহুল ভজনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ইন্ডিয়া জোটের কেউ প্রধানমন্ত্রী মুখ নন, বিরোধীদের তিনটি বৈঠকে এই মর্মে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও কেন উনি রাহুল গান্ধীর নাম বলছেন।

সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোট এবং বিহারের রাজনীতির বাস্তবতা মাথায় রেখেই নীতীশের দলের প্রথম সারির কোনও নেতা লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি এখনও। তবে বিরোধ থামার লক্ষণ নেই।

আসলে নীতীশের দলের ধারণা, লালুপ্রসাদের অঙ্ক সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি তাঁর ছোট ছেলে তথা বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সেই অঙ্ক মাথায় রেখে কংগ্রেসকে পাশে চাইছেন আরজেডি নেতা। বিহারে নীতীশের মন্ত্রিসভায় আছে কংগ্রেস। আর সেই কারণেই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে এত খাতির করছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু।

প্রসঙ্গত, লালু প্রসাদের দলের নেতারা বিগত কয়েক মাস ধরেই নীতীশকে উদ্দেশ্য করে বলে চলেছেন, বিহারের ভার তেজস্বীর উপর ছেড়ে আপনি এবার জাতীয় রাজনীতিতে মন দিন।