দিল্লি, ১৯ জুন– সোমবার ছিল রাহুল গান্ধির ৫৩ তম জন্মদিন। যদিও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি এখন আমেরিকায় থাকায় অন্যান্যবারের মতো কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা দিল্লিতে পার্টির সদর দফতরে নেতার জন্মদিন পালনের সুযোগ পাননি। তবে পার্টি অফিসের বাইরে নেতার ছবি সহ শুভেচ্ছা পোস্টার ব্যানার পড়েছে।
কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রাহুলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর মধ্যেও নতুন সমীকরণ দেখছে রাজনৈতিক মহল। জানা গিয়েছে এদিন বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ রাহুলকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর সৌজন্যের পথে হাঁটেননি পদ্ম শিবিরের প্রথমসারির কোনও নেতাই। অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই কংগ্রেস নেতাকে। কিন্তু এবার মোদিও নীরব।
আর চারদিনের মাথায় পাটনায় হতে চলেছে বিরোধী দলগুলির মহা সমাবেশ। ২০২৪-এর মহারণের আগে বিজেপি বিরোধী জোট বা বোঝাপড়ার মঞ্চ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিহারের মুখমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই সমাবেশের উদ্যোগ নিয়েছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে পাটনার সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল দু’জনেই দলের তরফে উপস্থিত থাকবেন।
পাটনার মহাসম্মেলনের আগে রাহুলকে জন্মদিনে বিরোধী শিবিরের কোন কোন নেতা-নেত্রী শুভেচ্ছা জানালেন তা নিয়ে স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলের দৃষ্টি রয়েছে। এই খবর লেখা পর্যন্ত রাহুলকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ ছাড়াও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, তাঁর কন্যা তথা দলের কার্যকরী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে, ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, তাঁর বোন তথা দলীয় নেত্রী কানিমোঝি প্রমুখ। সকালেই টুইট করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ।
তবে জানা গিয়েছে, জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তার ক্ষেত্রে ভাটা পড়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়, দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের । তবে বাকিদের থেকেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মমতাই সবচেয়ে বেশি। কারণ বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ তিনি। তাঁর পরামর্শেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পাটনার সম্মেলনের আয়োজন করছেন। সেই সম্মেলন কতটা সফল হবে তা অনেকাংশে নির্ভর করছে মমতা ও কংগ্রেসের অবস্থানের উপর। এখনও পর্যন্ত একের বিরুদ্ধে এক অবস্থানে অনড় মমতা।