জালিয়াতি ঠেকাতে ওষুধেও এবার কিউআর কোড আবশ্যিক

দিল্লি, ৫ ডিসেম্বর– ওষুধে জালিয়াতি ঠেকাতে কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগ। এবার ওষুধের বার কোড বা ‘কিউ আর কোড’ এর ব্যবস্থা করল কেন্দ্র। দেশে বিক্রি হওয়া প্রতিটি ওষুধে বার কোড থাকা এবার থেকে বাধ‌্যতামূলক করা হচ্ছে। নতুন নিয়ামটির পোশাকি নাম ‘ওষুধের আধার কার্ড’ (আধার কার্ড অফ মেডিসিনস)। আগামী বছরের ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হচ্ছে এই নিয়ম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ‌্য ও পরিবার-কল‌্যাণ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি ‘ড্রাগস অ‌্যান্ড কসমেটিক রুলস, ১৯৪৫’ আইনের সংশোধন করা হয় এবং ১৭ নভেম্বর কেন্দ্রের তরফে সংশোধিত ‘ড্রাগস রুলস ২০২২’ আইনের ঘোষণা হয়। কেন্দ্রের বিবৃতি অনুসারে, “এইচ টু সূচি মেনে এবার থেকে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে তাদের প্রাথমিক প‌্যাকেজিং তথা মোড়কে বার কোড বা কিউ আর কোড (কুইক রেসপন্স কোড) ছাপতে হবে। যদি সেখানে জায়গা কম থাকে, তাহলে সেকেন্ডারি প‌্যাকেজিং লেবেলে এই সংক্রান্ত তথ‌্য রাখতে হবে।” অর্থাৎ ওষুধের স্ট্রিপ হোক বা শিশি অথবা প‌্যাকেট কিংবা মোড়কের গায়ে বার কোড থাকা আবশ্যিক।

 জানা গিয়েছে, অ‌্যালেগ্রা, ডোলো, অগমেন্টিন, স‌্যারিডন, ক‌্যালপল এবং থাইরোনর্মের মতো কিছু কিছু ওষুধ এই নয়া বিধি মেনে শীঘ্রই বার কোড-সহ বাজারে তাদের নতুন প‌্যাকেট আনতে চলেছে।


কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী, এই তালিকায় রয়েছে প্রোডাক্ট আইডেন্টিফিকেশন কোড, ওষুধের ‘প্রপার’ ও জেনেরিক নেম, ব্র‌্যান্ড নেম, প্রস্তুতকারকের নাম-ঠিকানা, ব‌্যাচ নম্বর, ম‌্যানুফ‌্যাকচারিং ডেট, এক্সপায়ারি ডেট, ম‌্যানুফ‌্যাকচারিং লাইসেন্স নম্বর প্রভৃতি। কেন্দ্রের দাবি, জাল এবং নিম্নমানের ওষুধের ব‌্যবসায় রাশ টানতে এবং ওষুধের উৎপাদন ও বণ্টনের মধ্যে সংযোগশীলতা আরও বাড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ কার্যকর হলে ওষুধের সরবরাহ যেমন বাড়বে, তেমনই ওষুধ জাল করা এবং নিম্নমানের ওষুধ বিক্রির প্রবণতাও কমানো যাবে অনেকাংশে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ওষুধে বার কোড আবশ্যিক করার পক্ষে প্রচার আরও জোরদার করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে এই সংক্রান্ত প্রচারও চালানো হবে বলে দাবি একাধিক সংবাদমাধ‌্যমের।