• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

এবার পুতিনের নজর জর্জিয়ার দুটি অঞ্চলে 

মস্কো, ২৩ আগস্ট– দেড় বছরের ওপর চলছে মস্কো-ইউক্রেন যুদ্ধ। দু’দেশি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন। বিনা কোনো কারণে ইউক্রেনে হামলা চালানোয় বিশ্বের বেশ কিছু দেশের নানান নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়া।কিন্তু তা সত্বেও নিজের দাপটে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন মস্কো প্রধান পুতিন। আর এরই মধ্যে এবার ইউরোপের আরেক দেশ জর্জিয়ার দুটি অঞ্চল রাশিয়ার ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে

মস্কো, ২৩ আগস্ট– দেড় বছরের ওপর চলছে মস্কো-ইউক্রেন যুদ্ধ। দু’দেশি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন। বিনা কোনো কারণে ইউক্রেনে হামলা চালানোয় বিশ্বের বেশ কিছু দেশের নানান নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়া।কিন্তু তা সত্বেও নিজের দাপটে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন মস্কো প্রধান পুতিন। আর এরই মধ্যে এবার ইউরোপের আরেক দেশ জর্জিয়ার দুটি অঞ্চল রাশিয়ার ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিনের শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি দিমিত্রি মেদভেদেভ দক্ষিণ ওশেটিয়া ও আবখাজিয়াকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার এই হুমকি দিয়েছেন। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য জর্জিয়ায় উদ্যোগের জেরে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে।

মস্কোভিত্তিক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘আগুমেন্তি আই ফ্যাক্তি’ বুধবার মেদভেদেভের লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এতে রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভ দক্ষিণ ওশেটিয়া ও আবখাজিয়াকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি জর্জিয়াকে ন্যাটোভুক্ত করতে আলোচনার চেষ্টার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলকে পশ্চিমারা অস্থিতিশীল করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মেদভেদেভ নিবন্ধে লিখেছেন, দক্ষিণ ওশেটিয়া ও আবখাজিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার ধারণা এখনো বেশ জনপ্রিয়। যদি যৌক্তিক কোনো কারণ থাকে, তাহলে এই ধারণাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হতে পারে।

১৯৯১ সালে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দক্ষিণ ওশেটিয়া ও আবখাজিয়ার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারায় জর্জিয়া। নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় ২০০৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়ায় জর্জিয়া। এই অভিযান ছিল সংক্ষিপ্ত, তবে রক্তক্ষয়ী। এর পর থেকে জর্জিয়ার এই দুই অঞ্চলকে ‘স্বাধীন ভূখণ্ড’ হিসেবে বিবেচনা করছে মস্কো।