• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাহুলকে বেকায়দায় ফেলায় বিজেপির গুরুদায়িত্ব পূর্ণেশ মোদিকের

দিল্লি, ১৮ নভেম্বর– রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে বেকায়দায় ফেলার জন্য পুরষ্কার পেলেন গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি৷ দাদরা নগর হাভেলি এবং দমনে দলের ইনচার্জ করা হল তাঁকে৷ গুজরাটের নিম্ন আদালতে পূর্ণেশ মোদীর ফৌজদারি মামলার জেরে চলতি বছরে গোড়ার দিকে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছিল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে৷ ৫৮ বছরের পূর্ণেশ মোদি বিজেপির ওবিসি সম্প্রদায়ের

দিল্লি, ১৮ নভেম্বর– রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে বেকায়দায় ফেলার জন্য পুরষ্কার পেলেন গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি৷ দাদরা নগর হাভেলি এবং দমনে দলের ইনচার্জ করা হল তাঁকে৷ গুজরাটের নিম্ন আদালতে পূর্ণেশ মোদীর ফৌজদারি মামলার জেরে চলতি বছরে গোড়ার দিকে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছিল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে৷
৫৮ বছরের পূর্ণেশ মোদি বিজেপির ওবিসি সম্প্রদায়ের মুখ বলে পরিচিত৷ তিনি পেশায় একজন আইনজীবী৷ ২০১৩ সালে পশ্চিম সুরাট বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে পরিষদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন৷ ওই আসন থেকে ২০১৭ এবং ২০২২ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ সুরাট কেন্দ্র থেকে ১ লাখের বেশি ভোটে জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সকলের৷
২০২১ সালে ভূপেন্দ্র প্যাটেল সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পান পূর্ণেশ মোদী৷ পরিবহণ, বেসামরিক বিমান চালাচল এবং পর্যটনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি৷ হঠাৎ করে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে উত্থানে শোরগোল পডে় গিয়েছিল গুজরাট রাজনীতিতে৷ শুক্রবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দাদরা নগর হাভেলি এবং দমনে দলের ইনচার্জ হিসেবে পূর্ণেশ মোদীর নাম ঘোষণা করে৷ সেই সঙ্গে আরেক বিজেপি নেতা দু্যষ্যন্ত প্যাটেল-কে সহ-ইনচার্জ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে৷ রাহুলকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই পেশায় আইনজীবী পূর্ণেশকে পুরস্কৃত করা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ৷
তবে, পূর্ণেশ রাজনীতির লাইমলাইটে আসেন রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার পর৷ ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে ‘মোদিরা চোর’ বলে অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা৷ এরপরেই সুরাটের একটি নিম্ন আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেন পূর্ণেশ মোদী৷ এ বছরের গোড়ার দিকে সেই মামলায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাটের আদালত৷ সেই সঙ্গে রাহুলকে ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন নিম্ন আদালতের বিচারপতি৷
সুরাটের আদালতের রায়ের ভিত্তিতে রাহুলের লোকসভা সাংসদের পদ কেডে় নেওয়া হয়েছিল৷ সেই সঙ্গে কংগ্রেস নেতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারি বাংলো ছাড়ার৷ যদিও পরে সুরাটের আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন রাহুল৷ কিন্ত্ত সেখানেও নিম্ন আদালতের রায়কে বহাল রাখা হয়৷ এরপরেই উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন ওয়েনাডের সাংসদ৷ নিম্ন আদালতের রায়কে শীর্ষ আদালত খারিজ করে দিলে, লোকসভার সাংসদ পদ ফিরে পেয়েছিলেন রাহুল গান্ধি৷