চন্ডিগড়, ১৩ অক্টোবর– তারা জেল বন্দি। কিন্তু তাদেরও তো পরিবার আছে, স্ত্রী/স্বামী আছে। তাদের বংশ রক্ষাও প্রয়োজন। সেই কথা ভেবেই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল পাঞ্জাব সরকার।
উল্লেখ্য, এই মর্মে একাধিক মামলায় সায় দিয়েছে দেশের বিভিন্ন আদালত। পাঞ্জাব সরকার সম্প্রতি এমনই এক বন্দির আর্জি মঞ্জুর করেছে। পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টকে পাঞ্জাবের আপ সরকার তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
পাঞ্জাব সরকার জানিয়েছে, জেলেই একটি মিলন ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে আবেদনকারী বন্দি তার স্ত্রী/স্বামীর সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন। এই সুযোগ মিলবে ১৫ দিনের জন্য। যা ওই বন্দির ক্ষেত্রে প্যারলে মুক্তি বলে বিবেচিত হবে।
তবে শুধুমাত্র বংশ রক্ষার আবেদনই এক্ষেত্রে বিবেচিত হবে। আদালত আর্জি মঞ্জুর করলে মিলনের ব্যবস্থা জেল কর্তৃপক্ষ করবে।
পাঞ্জাব সরকারের জেল দফতর সূত্রে খবর, এই ব্যাপারে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে প্রথম মামলা হয় এ বছর মার্চে। গুরুগ্রামের একজন মহিলা পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বংশ রক্ষার আর্জি নিয়ে জেলে আটক স্বামীর সঙ্গে শারীরিক মিলনের অনুমতি চান। তার স্বামী খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেল খাটছে।
আর একটি মামলায় জসভীর সিং নামে এক বন্দি আদালতে আর্জি জানায়, গর্ভবতী না হওয়া পর্যন্ত তার স্ত্রীকে কারাগারে থাকতে দিতে হবে।
এই জাতীয় সব মামলাতেই আবেদনকারীরা সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ উল্লেখ করেছে। তাতে নাগরিকের জীবনধারণ ও ব্যক্তিগত অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গত মাসে রাজস্থানে এক মহিলা একই আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর স্বামী জেলে রয়েছে। তার মুক্তি পাওয়ার আগে মহিলার সন্তান ধারণের বয়স পেরিয়ে যাবে।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই ধরনের পিটিশনের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে একটি জেল সংস্কার কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছিল।