কলকাতা:- কলকাতার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি কলকাতার তিনটি বোরোতে। সেগুলি হল ১, ১০ এবং ১৩ নম্বর বোরো। এইসব বোরোগুলিতে নিয়মিত মশা নিধন অভিযান চালানো হচ্ছে। এই বোরোগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় হল ১০ নম্বর। এই বোরোতে ১২ টি ওয়ার্ড রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস।
এবছর কলকাতা তো বটেই, গোটা রাজ্যে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গি। জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে, কলকাতায় গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৪০০ জন। তবে এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২,৭০০–এর কাছাকাছি। তাতে স্বাভাবিকভাবেই আঁচ করা যাচ্ছে ডেঙ্গি এবার কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভা। এই অবস্থায় দুর্গাপূজাতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করল পুরসভা। অর্থাৎ অক্টোবরে ছুটির দিনেও কাজ করবে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীরা। জানা গিয়েছে, অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি ঠিকমতো পরিষ্কার রাখা হচ্ছে না। আবার পুরসভাকেও তারা ঠিকমতো কাজ করতে দিচ্ছে না। কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ঠিকানায় গিয়ে ডেঙ্গি নিধন অভিযান চালাবে পুরকর্মীরা। অন্যদিকে, এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ার ফলে পুরক্লিনিকগুলিতে টেস্টও বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজার টেস্ট হয়েছে। যদিও গত বছর ৯০ হাজার টেস্ট করা হয়েছিল। তবে এখনও বছর শেষ হতে চার মাস বাকি। এই অবস্থায় এবছর ডেঙ্গি পরীক্ষার সংখ্যা দেড় লক্ষ ছড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর পর শহরে আরও ডেঙ্গি বাড়তে পারে আশঙ্কা করছে পূর্ত দফতর। তার জন্য পূর্ত দফতরের তরফে পুরসভাকে সংক্রমণের হার কমাতে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্দেশে বলা হয়েছে, কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে তাঁর বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যে অন্যান্য বাড়িতে কেউ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তার খোঁজ করে নিতে হবে এবং সেই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। পাশাপাশি মশানাশক স্প্রে করতে হবে। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলাতেও মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।