রায়পুর, ১১ ডিসেম্বর – প্রতিদিন বেড়েই চলেছে টাকার পরিমাণ। সাড়ে তিনশো কোটি পেরিয়ে গেছে বাজেয়াপ্ত হওয়া নগদ টাকার পরিমাণ। কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে এই বিপুল পরিমাণ টাকা মিলতেই আক্রমণে নেমেছে বিজেপি। সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নেতৃত্বে সোমবার সংসদে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদ। হাজির ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হওয়ার পরেই নিশানা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ওড়িশার কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়ি এবং তাঁর ভাই মদ কারখানার মালিক বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে আয়কর হানায় উদ্ধার হয় বিপুল টাকা। সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট ৩৫০ কোটি টাকা গুনতে পেরেছেন আধিকারিকরা। এরপরও চলতে থাকে টাকা গোনার কাজ। এই ঘটনার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে নাড্ডা লেখেন, “তোমরা এবং তোমাদের নেতা রাহুল গান্ধিকে উত্তর দিতে হবে। এটা নতুন ভারত, এখানে ক্ষমতাবান পরিবারের নামে জনসাধারণকে শোষণ মেনে নেওয়া হবে না। কংগ্রেস যদি দুর্নীতির গ্যারান্টি হয়, তবে নরেন্দ্র মোদি হলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্যারান্টি। মানুষের টাকা ফেরাতেই হবে।”
বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের খবর পেয়ে মুখ খোলেন অমিত শাহও। কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে এত টাকা মেলার পরেও ইন্ডিয়া জোটের নেতারা চুপ কেন, সেই প্রশ্ন তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর মতে, “তদন্তকারী সংস্থাগুলোর অপব্যবহার হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলা হয়। আসলে ওদের মনে ভয় আছে, তদন্ত হলেও দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসে যাবে। তাই এই প্রশ্ন তোলে।” যদিও কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, এই কাণ্ডের দায় নিতে হবে সাংসদকেই।
রবিবার সারাদিন কংগ্রেস-বিজেপি তরজার পরে সোমবার বিক্ষোভে নামে গেরুয়া শিবির। গান্ধীমূর্তির সামনে প্ল্যাকার্ড-পোস্টার নিয়ে হাজির হন বিজেপি সাংসদরা। নাড্ডার নেতৃত্বে স্লোগান দিতে থাকেন, “কংগ্রেসকে হাত, লুটেরা কে সাথ”। সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে নাড্ডা বলেন, “শুরু থেকেই বিজেপি মনে করে যে দুর্নীতি আর কংগ্রেস হল একই মুদ্রার দুই পিঠ। ওরা সবসময় ইডি আর আয়কর দপ্তরকে ভয় পেয়ে এসেছে।”