মুম্বই: এমনই তাঁর সুরের জাদু যে তিনি সুরসম্রাজ্ঞী৷ সুরের জগতে অমর লতা মঙ্গেশকর৷ যুগের পর যুগ তাঁর গান সমান জনপ্রিয়৷
২০২২ সালে ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হন ভারতরত্ন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর৷ তাঁর মৃতু্যতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা ভারতে৷ বলিউডে দশকের পর দশক নায়িকার কন্ঠ ছিলেন তিনি৷ ভারতীয় সিনেমায় প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে লতা জার্নি শুরু করেছিলেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে৷ কিছুদিনের মধ্যেই বাবাকে হারিয়ে পুরো পরিবারের দায়িত্ব নেন লতা৷ তাঁর প্রথম উপার্জন ছিল ২৫ টাকা৷ ধীরে ধীরে বলিউডে বিস্তার করেছেন তাঁর সাম্রাজ্য৷ গানের রয়্যালটি থেকেই মাসে ৪০ লক্ষ টাকা আয় করতেন লতা মঙ্গেশকর৷ সবমিলিয়ে বছরে প্রায় ৫ কোটি ছিল তাঁর উপার্জন৷ দক্ষিন মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত তাঁর বাডি় ‘প্রভাকুঞ্জ৷’ সেই বাডি়র গ্যারাজেই দেখা যায় বেশ কয়েকটি অভিজাত গাডি়৷ বুইক, শার্ভোলেট, বেন্টলি ফ্লাইং স্পার এই তিনটি গাডি়র পাশাপাশি সেখানে রয়েছে একটি মার্সিডিজ যেটি বীর-জারা ছবির পর তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন যশ চোপড়া৷
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা৷ কিন্তু আমরা সবাই জানি লতা অবিবাহিতা ছিলেন৷ আজীবন কুমারী তলার নেই কোনো উত্তরাধিকারি৷ এক প্রতিবেদন অনুসারে, লতা মঙ্গেশকরের আইনজীবী এর আগে জানিয়েছিলেন যে গায়িকা সমস্ত সম্পত্তি তাঁর ট্রাস্টে চলে যাবে৷ তাঁর বাবার নামেই তিনি একটি ট্রাস্ট চালাতেন৷ সমস্ত সম্পত্তি সেখানেই চলে যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবি৷ আবার কখনও শোনা গিয়েছিল, এই সম্পত্তি নাকি পেতে চলেছেন তাঁর ভাই বোনদের মধ্যে কেউ! সম্পত্তির মোট পরিমানের মতো সম্পত্তির বন্টণ নিয়েও রহস্য রয়ে গেছে এই কিংবদন্তি গায়িকার৷ তবে তাঁর সম্পদ কে পাচ্ছেন, সময়ই সেটা বলে দেবে৷ যদিও ট্রাস্টের টাকায় এখনই কারও কোনও অধিকার নেই৷ সেই টাকা সংরক্ষিত রয়েছে সেখানকার জন্যই৷ পরবর্তীতে কী হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি প্রয়াত গায়িকার আইনজীবী৷তবে গায়িকার গাডি় বা অন্যান্য জিনিস এখন তাঁর পরিবারের সকলে মিলেই ব্যবহার করে থাকেন৷
লতা মঙ্গেশকর তার সুদীর্ঘ সংগীত জীবনে ৩৬ টি ভাষায় ৫০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন৷ ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মৃতু্যবরণ করেন এই কিংবদন্তি গায়িকা৷