ভদোদরা, ৩১ অক্টোবর– গুজরাতের মরবিতে রবিবার মর্মান্তিক সেতু দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। প্রিয়জন হারানো এই ঘটনায় এক বিজেপি সাংসদ তাঁর সর্বস্ব খুইয়েছেন, তাঁর পরিবারের ১২ জন সদস্য যার মধ্যে ৫টি শিশু ছিল মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায় ।
সূত্রের খবর, রাজকোটের সাংসদ মোহনভাই কল্যানজি কুন্দারিয়ার বোনের পরিবারের ১২ জন সদস্য রবিবার মাচ্ছু নদীর উপর ওই ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে গিয়েছিলেন। আচমকাই সেতু ছিড়ে পড়ায় তাঁরা সকলেই নদীতে পড়ে যান। পরে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার জেরে বিধ্বস্ত বিজেপি শিবিরের ওই সাংসদ। কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানান, ‘ওই অভিশপ্ত সেতু আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। আমার বোনের পুরো পরিবারটাই শেষ হয়ে গেল।’
ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১৭৭ জনকে। এঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। রাতভর অনুসন্ধান চালানোর পরেও নিখোঁজ বহু। তাঁদের খোঁজার চেষ্টা জারি রয়েছে।
গুজরাতের এই ব্রিজটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি বলে জানা গিয়েছে। গত ৭ মাস সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল সেতুটি। ২ কোটি টাকা খরচ করে মেরামত করার পর গত ২৬ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য খুঁজে দেওয়া হয়েছিল ব্রিজটি। কিন্তু তার মাত্র ৪ দিনের মাথাতেই এমন মর্মান্তিক বিপর্যয়ে রাজ্যের শাসক দলের দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস, আপ-সহ একাধিক বিরোধী দল ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে।
মরবি পুরসভার অভিযোগ, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই খুলে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। জানা গেছে, ঝুলন্ত এই ব্রিজটিতে ওঠার জন্য টিকিট কাটতে হয়। অতিরিক্ত লাভের আশায় সেতু কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করেই বেশি লোককে ব্রিজে ওঠার অনুমতি দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে মরবি পুর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।