মোদির ঘরে অভিষেক ভাষণে ঠাকুমার স্মৃতি ফেরালেন প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা গান্ধি (Photo IANS/AICC)

গান্ধিনগর, ১২ মার্চ – কংগ্রেস নেত্রী হিসাবে ময়দানে আগেই নেমেছিলেন। আজ ছিল তাঁর প্রথম জনসভা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা তাঁর সেই প্রথম নির্বাচনী পদযাত্রায় বুঝিয়ে দিলেন সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের মূল পর্বে গোটা দেশজুড়ে ঝড় তুলতে প্রস্তুত তিনি। যার মধ্যে গোটা দেশ খুঁজে বেড়াচ্ছে প্রায়ত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির ছায়া। আজ প্রিয়াঙ্কা যখন নিজের বক্তব্য রাখছিলেন অনেকেই তাঁর সঙ্গে ঠাকুমার সাদৃশ্য হাতড়ে বেরাচ্ছিলেন। অজান্তেই নিজের সত্তার মধ্যে ইন্দিরার ছায়া বহন করে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা। উত্তরপ্রদেশ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন, কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘরে গিয়ে নিজের জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিয়ে এলেন কংগ্রেস নেত্রী। দলে অভিষেকের পর থেকে সেভাবে কোনও জনসভায় ভাষণ দেননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা। মঙ্গলবার সেই প্রত্যাশার অবসান ঘটিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যের জন্য বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘরকে। এযেন শত্রুর ঘরে গিয়ে চোখ রাঙিয়ে আসা। প্রথম দিনই তোপ দাগলেন কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, কৃষকদের দুরবস্থা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে। গান্ধিনগরের জনসভা থেকে ৪৭ বছরের প্রিয়াঙ্কা সরাসরি মোদি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘অস্ত্রই আপনার ভোট। যাঁদের আপনি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা এবার ভেবে দেখুক সেই প্রতিশ্রুতি আপনি পালন করেছেন কি না। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোথায় গেল আপনার ১৫ লাখ টাকা? মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আপনারা কী ভাবছেন?

ক্ষমতায় আসার আগে মোদি সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশবিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার করে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে মোদি সরকার বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রিয়াঙ্কা আজ সেই সব প্রতিশ্রুতির একটার পর একটা জবাব চান মোদির কাছ থেকে।

মোদি সরকারের আমলে কৃষকদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে বলে জানান প্রিয়াঙ্কা। তিনি অভিযোগ তোলেন, ‘গত ৫ বছরে কৃষকদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ফসলের দাম পাচ্ছেন না তারা’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে দেশে ঘৃণার পরিবেশ ছড়িয়েছে বলেও অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার। মোদি সরকারের উস্কানিতেই দেশে হিংসা ছড়াচ্ছে। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘যে দিকেই তাকান দেখতে পাবেন গণহত্যা গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটছে। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি চলছে চারিপাশে। আপনাদেরই হাত মিলিয়ে পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এই যুদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়ে কম নয়। এই দেশ গড়েছেন কৃষক, শ্রমিকরা। আপনারাই পারেন এই দেশকে রক্ষা করতে। ভালোবাসা দিয়েই ঘৃণাকে জয় করতে হবে।


পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির উপস্থিতিতে দলে যোগ দিলেন। আহমেদাবাদে আজ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসে।