• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কলকাতায় রাষ্ট্রপতি, মাদক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ  

কলকাতা,  ১৭ আগস্ট – গার্ডেনরিচ শিপিং ইয়ার্ডে ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ ‘বিন্ধ্যগিরি’র উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নৌ-সেনার অনুষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রপতি জানান, আত্মনির্ভরতার দিকে এগোচ্ছে ভারত। এর আগে ‘নেশামুক্ত ভারত অভিযান’ কর্মসূচি থেকে তরুণ সমাজের মাদকাসক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন  রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি বলেন, “তরুণ

কলকাতা,  ১৭ আগস্ট – গার্ডেনরিচ শিপিং ইয়ার্ডে ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ ‘বিন্ধ্যগিরি’র উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নৌ-সেনার অনুষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রপতি জানান, আত্মনির্ভরতার দিকে এগোচ্ছে ভারত। এর আগে ‘নেশামুক্ত ভারত অভিযান’ কর্মসূচি থেকে তরুণ সমাজের মাদকাসক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন  রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি বলেন, “তরুণ সমাজ  আমাদের সম্পদ। তাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি মজবুত করার জন্য যে সময় ও শক্তি ব্যয় করা উচিত, তা নেশার কারণে নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ভুল পথে যাচ্ছে কিনা তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে।”এর আগে গত মার্চে দু’দিনের কলকাতা সফরে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি। এ দফায় একদিনের ঝটিতি সফরে একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি। নৌসেনার অনুষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রপতি জানান, এই জাহাজ ভারতের নৌ-বহরের ক্ষমতাকে অনেকটাই প্রসারিত করল। বিন্ধ্যাগিরি আত্মনির্ভর ভারত গড়ার দিকেও একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। কারণ এই জাহাজ তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে।

রাষ্ট্রপতির কথায়, “আমি ভারতীয় নৌ-বাহিনী সহ যাঁরা এই রণতরী নির্মাণে সহায়তা করেছেন তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাকে বলা হয়েছে গার্ডেনরিচের এই কারখানা ও তার ইঞ্জিনিয়ররা প্রায় একশ-র ওপর রণতরী নির্মাণ করেছে। আপনাদের দক্ষতা ও অনলস পরিশ্রম আমাদের এই গৌরব এনে দিয়েছে। এই প্রকল্প ভারতীয় জলসীমার স্বার্থ রক্ষায় সম্পূর্ণ সক্ষম।“

নৌসেনার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে ব্রহ্মাকুমারী আয়োজিত ‘নেশামুক্ত ভারত অভিযান’ কর্মসূচিতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি। মাদকের অপব্যবহার নিয়ে সমাজ ও দেশের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এসব আসক্তির কারণে তরুণরা তাদের জীবনে সঠিক পথ বেছে নিতে পারছে না। এ ব্যাপারে সব ফ্রন্টে কাজ করা দরকার। আধ্যাত্মিক জাগরণ, ওষুধ, সামাজিক সংহতি এবং রাজনৈতিক ইচ্ছার মাধ্যমে এই পরিস্থিতির উন্নতি করা যেতে পারে।

এই ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য এবং সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য তিনি ব্রহ্মাকুমারীর মতো সংস্থার প্রশংসা করেন । যারা মাদক সেবন করেন তাদের জীবন নষ্ট না করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।