• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা গুপ্তচর জাহাজের উপস্থিতি, উদ্বেগে ভারত   

দিল্লি, ১৪ অক্টোবর  – চিনের গুপ্তচর জাহাজ ‘শি ইয়ান ৬’ যাত্রা শুরু করেছে শ্রী লঙ্কার  উদ্দেশে।  অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে শ্রীলঙ্কার ‘ন্যাশনাল অ্যাকোয়াটিক রিসোর্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’র সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা ‘শি ইয়ান ৬’-এর। চলবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেয়নি।  কিন্তু ‘শ্রীলঙ্কার জলসীমায় চিনা গুপ্তচর জাহাজের উপস্থিতি দেখে  তীব্র আপত্তি

দিল্লি, ১৪ অক্টোবর  – চিনের গুপ্তচর জাহাজ ‘শি ইয়ান ৬’ যাত্রা শুরু করেছে শ্রী লঙ্কার  উদ্দেশে।  অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে শ্রীলঙ্কার ‘ন্যাশনাল অ্যাকোয়াটিক রিসোর্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’র সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা ‘শি ইয়ান ৬’-এর। চলবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেয়নি।  কিন্তু ‘শ্রীলঙ্কার জলসীমায় চিনা গুপ্তচর জাহাজের উপস্থিতি দেখে  তীব্র আপত্তি জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদি  সরকার। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ বিষয়ে বিক্রমসিঙ্ঘের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিছু দিন আগে জয়শঙ্কর নিজেই বলেছিলেন, ‘‘ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন যেখানে  জড়িত তা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।”  কিন্তু নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘শি ইয়ান ৬’ ইতিমধ্যেই যাত্রা করেছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রের দিকে। সূত্রের খবর, চেন্নাই উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় রয়েছে জাহাজটি।
 শ্রীলঙ্কার পূর্বের দুই শাসক মাহিন্দা এবং গোতাবায়া রাজাপক্ষের আমলে চিন-শ্রীলঙ্কা বোঝাপড়া ‘উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি’ পায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের জমানায় শ্রীলঙ্কা সেই অবস্থান কিছুটা বদলেছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অন্যদিকে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে একজোট হয়েছে আমেরিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানও। চাপের মুখে বিক্রমসিঙ্ঘে সরকার অবস্থান বদলায় কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
এর আগে, গত বছর চিনের অপর এক  জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’ শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়েছিল। সেই সময় ভারতের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। যদিও এরপরও চলতি বছরেই অগস্ট মাসে শ্রীলঙ্কায় নোঙর ফেলে পিএলএ-র জাহাজ ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ভারতের পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সংক্রান্ত বিষয়গুলির উপর নজরদারি করতেই বার বার শ্রীলঙ্কা নৌসেনার বন্দরে আসছে চিনা যুদ্ধজাহাজ। ভারতের কাছে এটি উদ্বেগের তার কারণ হল শ্রীলঙ্কার পূর্বতন রাজাপক্ষে সরকার হামবানতোতা বন্দরটিকে ৯৯ বছরের জন্য চিনের হাতে তুলে দিয়েছে। সেই কারণেই ‘শি ইয়ান ৬’ -এর গতিবিধি ভারতের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।