পাটনা , ২৬ এপ্রিল – ভোট কুশলী পিকের নিশানায় এবার তেজস্বী যাদব। রাজনৈতিক ময়দানে নামার আগেই কটাক্ষবান তেজস্বী যাদবকে লক্ষ্য করে। পরোক্ষে তেজস্বী যাদবকে নিষ্কর্মা বলে উল্লেখ করলেন তিনি। একইভাবে বিহারের মহাজোট সরকারকে খুঁড়িয়ে চলা সরকার বলে মন্তব্য করেন পিকে এ যাবৎ তিনি রাজনীতিবিদদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেননি।কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশের আগেই তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিহারের মহাজোটের তারকাদের। তেজস্বী যাদবকে নিষ্কর্মা বলে অভিহিত করলেন এবং বিহারের মহাজোট সরকারকে খোঁড়া সরকার বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।
রাজনীতিতে আসার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে গৌড়চন্দ্রিকা চলছে। এখন বিহারে জন সূরজ যাত্রায় বেরিয়েছেন প্রশান্ত । বিহারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের মতামত সংগ্রহ করছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান, এসবই সক্রিয় রাজনীতিতে নামার প্রস্তুতি। পিকে যখন এই যাত্রা শুরু করেন তখনও বিহারে শাসকের আসনে ছিল বিজেপি। তিনি আক্রমণ শানিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরকে। বিহারে পালাবদল ঘটেছে। ক্ষমতায় এসেছে নীতীশ কুমার-তেজস্বী যাদবের জোট সরকার। স্বাভাবিকভাবেই পিকের আক্রমণের অভিমুখও বদলেছে। এখন প্রায় নিয়মিতভাবেই তাঁর কটাক্ষের লক্ষ্য নীতীশ এবং তেজস্বী যাদব।
বিধানসভা ভোটের আগে আশ্বাস দিয়েছিলেন ,বিহারে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার। সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি। পিকের বক্রোক্তি , তেজস্বী লোককে চাকরি দেবে? ও যদি লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে না হত, তাহলে তো নিজেই চাকরি জোটাতে পারত না। সবাই জানে, ও ১০ লক্ষ চাকরি দিতে পারবে না। ও যদি লালু যাদবের ছেলে না হত, তাহলে কীসের চাকরি করত? পিকের বক্তব্য, বিহারবাসীকে ভুল বোঝানোর জন্য তেজস্বীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।
প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় রয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। তিনি বলছেন, “নীতীশ কুমার খোঁড়া সরকার চালাচ্ছেন। দেশ ছেড়ে তাঁর এখন বিহারের দিকে মনসংযোগ করা। দলে একজন সাংসদ নেই, তাঁরা কিভাবে দেশ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন ? তাঁর আরও কটাক্ষ , যার নিজের ক্ষমতা নেই , সে সব বিরোধী দলকে একত্রিত করার কথা ভাবছে কি করে ?”
কুশলী পিকে দীর্ঘদিন ধরেই নিজের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু এবার সেই নিরপেক্ষতার আব্রু সরিয়ে প্রকাশ রাজনৈতিক আঙিনার দোরগোড়ায় প্রশান্ত কিশোর ।