লখনউ, ১৪ নভেম্বর- বাড়ির দোড়গোড়ায় স্ত্রী-কন্যার সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হল পুলিশ আধিকারিককে৷ ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের৷ আর এই ঘটনার পরই বড়সড়ো প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের শাসনব্যবস্থা৷ যেখানে পুলিশ আধিকারিকদের নিরাপত্তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায় প্রশ্ন উঠেছে৷
জানা গিয়েছে, মৃত আধিকারিক প্রয়াগরাজের পিএসির চতুর্থ ব্যাটালিয়নে কর্মরত৷ মঙ্গলবার ভোরবেলা কৃষ্ণনগর এলাকায় তার স্ত্রী এবং মেয়ের উপস্থিতিতে তার বাডি়র বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ পুলিশের তরফে খবর, তিনবার গুলি করা হয়েছে যদিও আততায়ীদের সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায় নি৷ বছর ৪৭ এর সতীশ কুমার এদিন স্ত্রী ভাবনা এবং কন্যাসন্তান পাখি সঙ্গে দীপাবলি উপলক্ষে নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ফেরার পথে এই ঘটনার সম্মুখীন হন৷
পুলিশের বয়ান অনুযায়ী রাত ২টো নাগাদ বাড়ি ফেরেন তারা৷ সতীশ বাড়ির দরজা খোলার জন্য গাড়ি থেকে নামতেই বন্ধুকধারী কিছু দুষ্কৃতী তাকে তিনবার গুলি করে৷ তৎক্ষণাৎ মৃতু্য হয় পুলিশ অফিসারের৷ দক্ষিণ জোনের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ বিনীত জয়সওয়াল এই বিষয়ে জানান যে সতীশকে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্ত্ত সেখানেই চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে৷ ঘটনার তদন্তের জন্য পাঁচটি টিম গঠন করা হয়েছে৷
এই ঘটনার যোগী সরকারের নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধীরা৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ৷ উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকারের অধীনে অনাচারের চূড়ান্ত নিদর্শন৷ পুলিশ আধিকারিক সতীশ কুমারকে লখনউতে তাদের বাডি়র বাইরে তার স্ত্রী এবং মেয়ের উপস্থিতিতে দুর্বৃত্তরা গুলিবিদ্ধ করেন৷ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্তরা যখন এই ধরনের পরিণতির সম্মুখীন হয়, তখন সাধারণ নাগরিকদের জন্য কী আশা করা যায়?’