যাদবপুর কাণ্ডের মাথা সৌরভ, দাবি পুলিশের 

কলকাতা, ২৫ অগাস্ট –  যাদবপুর কাণ্ডে পুলিশের চোখে ধোঁকা দিতেই তৈরি করা হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সেই গ্রুপেই সমস্ত পরিকল্পনা করা হতো। কীভাবে তদন্ত প্রভাবিত করা যায় সেই ছক কষা হত ওই গ্রুপে। কে কী বলবে, তাও ঠিক করে দিতেন সৌরভ। আদালতে শুক্রবার এমনটাই জানায় পুলিশ। সরকারি আইনজীবী আরও বলেন, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করেই প্রথম বর্ষের মৃত ছাত্রকে মারধর করা হয়। 

ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে আট দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। এদিনও সৌরভের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু সেই আবেদনের বিরোধিতা করেছে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক সৌরভকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে প্রয়োজনে পুলিশ জেলে গিয়ে সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে, জানান বিচারক।

ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে র‍্যাগিং, এমন অভিযোগ আদালতে আগেই করে পুলিশ। কী ভাবে হস্টেলে, র‍্যাগিং হয় সেই সম্পর্কেও বিভিন্ন ছাত্র ও কর্মীদের বয়ান আদালতে জমা করে পুলিশ। পুলিশ আগেই বলেছিল, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কিংপিং সৌরভই। তাঁকে বাঁচাতে বাকিরা কীভাবে ছক কষেন তাও আদালতে জানানো হয়।


এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী সওয়াল জবাবের সময় দাবি করেন, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরই ‘জেইউএমইএইচ’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলেন সৌরভরা। সেখানে পুলিশী জেরায় কে কী বলবেন সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই গ্রুপ ডিলিট করে দেওয়া হয়। পুলিশ দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। 

সৌরভের আইনজীবী জানান, পুলিশ এখনও ওই ঘটনার সঙ্গে সৌরভের যোগ রয়েছে এই সংক্রান্ত মামলার তদন্তে কোনও অগ্রগতি করতে পারেনি। সৌরভকে জামিন দেওয়া হোক। জেলে যাতে দাগী আসামিদের সঙ্গে তাঁর মক্কেলকে রাখা না হয় সেই আবেদনও করেন সৌরভের আইনজীবী।

এদিন আদালতে সৌরভকে যখন আনা হয় তখন সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সৌরভকেই প্রথম গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর সূত্র ধরেই আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।