পাটনা, ১৬ ডিসেম্বর– বেড়েই চলেছে বিহারের ছাপড়ায় বিষমদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা। বর্তমানে তা বেড়ে হল ৫৩। গত মঙ্গলবার ঘটনার প্রথম দিনে মারা যান চারজন। পরদিন থেকে লাফিয়ে বেড়েছে মৃত্যু । বেশিরভাগ মারা গিয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়।
এই মামলায় এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, ঘটনার তদন্তে নেমে বিশেষ তদন্তকারী দল জানতে পেরেছেন, ছাপড়া এবং লাগোয়া বিভিন্ন থানা থেকে বাজেয়াপ্ত চোলাই মদই নানা পথ ঘুরে বিক্রি হয়েছে। সেই মদ খেয়ে মারা গিয়েছে মানুষ।
বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে ছাপড়ার এক বাসিন্দার তৈরি ভিডিও থেকে। থানা লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির তৈরির ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ চোলাই মদের ঠেক থেকে উদ্ধার করা নিষিদ্ধ মদ থানায় আনার পর তা আবার বিক্রির জন্য চলে যাচ্ছে। মাঝে কিছুদিন চোলাই ভর্তি ড্রামগুলি অযত্নে থানায় পড়ে থাকছে।
চলতি বিষমদ কাণ্ডে এই মদই থানা থেকে চলে গিয়েছিল বিভিন্ন ঠেকে। থানা থেকে আসা মেয়াদ উত্তীর্ণ মদ খেয়েই মারা যায় মানুষ।
গ্রামবাসীর তৈরি ওই ভিডিওটি বিহারের মূখ্য সচিবের নজরে আসে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে আবগারি কমিশনারকে ছাপড়ায় পাঠান। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, থানায় যে পরিমাণ চোলাই বাজেয়াপ্ত করার হিসাব রয়েছে, মজুতের পরিমাণ সেই তুলনায় অনেক কম। আবগারি কমিশনার গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন।
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার পুলিশকে নির্দেশ দেন, গরিব মানুষকে নির্বিচারে গ্রেফতার করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। বিশেষ করে যারা বিষমদ বিক্রির সঙ্গে যুক্ত, তাদের জেলে ঢোকানোর নির্দেশ দেন তিনি।