দিল্লি, ১৬ সেপ্টেম্বর– এবছরের বিশ্বকর্মা পুজোতে দেশের ‘বিশ্বকর্মা’দের জন্য নতুন প্রকল্পের সূচনা করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দেশের শিল্পী ও কর্মীদের বিশেষ আর্থিক সাহায্যের জন্য উদ্বোধন করা হবে পিএম বিশ্বকর্মা স্কিম । চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিনই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এবার তা রূপায়ণ হতে চলেছে৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে শিল্পীরা ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন। এছাড়াও, রয়েছে আরও একাধিক সুবিধা৷ঘটনাচক্রে, ওই দিন মোদির জন্মদিনও বটে৷
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, স্বর্ণকার, কামার, তাঁতি, ধোপা, নাপিত, যাদের অধিকাংশই ওবিসি জনগোষ্ঠীর, তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন । তাঁদের জন্য পাঁচদিনের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরেরও ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণের পর তাদের সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে। তারা প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারেন https://diupmsme.upsdc.gov.in/এ ৷
কেন্দ্রীয় সরকার শিল্পী ও কারিগর উৎসাহ দিতে এই নতুন যোজনা নিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় দ্বারকার ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টারে এই প্রকল্পটি চালু করবেন।
এর পরের ধাপে ১৫ দিনের অ্যাডভান্সড ট্রেনিং শিবিরেরও আয়োজন করা হবে। প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রতিদিনই অংশগ্রহণকারীদের ৫০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
এই প্রকল্পের অধীনে শিল্পী-কারিগরদের পিএম বিশ্বকর্মা সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড দেওয়া হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে প্রথম কিস্তিতে শিল্পীরা এবং কারিগরেরা প্রথম দফায় ১ লক্ষ টাকা ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য় পাবেন। এর জন্য সুদের হারও ন্যূনতম মাত্র ৫ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রত্যেক উপভোক্তা টুলকিট ভাতা বা ইনসেনটিভ বাবদ ১৫ হাজার টাকা ই-ভাউচার বা ই-রুপি পাবেন। এছাড়া, তাঁদের নিজের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য কম সুদে জমানতহীন ঋণের সুবিধাও দেওয়া হবে। অর্থাৎ, এই প্রকল্পের অধীনে তাঁদের ঋণের জন্য কোনও কিছু বন্ধক বা জমা দিতে হবে না।
এই প্রকল্পের অধীনে আরও একটি অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে৷ এক্ষেত্রে প্রতিটি আর্থিক লেনদেন পিছু ১ টাকা করে পাবেন উপভোক্তারা। মাসে সর্বোচ্চ ১০০টি আর্থিক লেনদেনে এই টাকা পাওয়া যাবে।
পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের অধীনে গুণগত সার্টিফিকেশন, ব্রান্ডিং, বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য মার্কেটিংয়ের জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৪ থেকে ২০২৮ অর্থবর্ষের জন্য মোট ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।