দিল্লি, ৮ ডিসেম্বর – ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ সাহুর সংস্থা থেকে আয়কর দফতর ২০০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। উদ্ধার করা নোটের ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে জনগণের টাকা লুঠ করারঅভিযোগ আনলেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রতিটি টাকা ফেরত নেওয়া হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন। বুধবার সকাল সাতটা থেকে ওড়িশার বোলাঙ্গির ও সম্বলপুর এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচি ও লোহারডাঙা- চার জায়গায় চলে আয়কর দপ্তরের অভিযান। সেই সময়েই ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখা বিশাল অঙ্কের টাকার হদিশ মেলে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ব্যবসা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্রও। ঘরের মধ্যে থরে থরে সাজিয়ে রাখা টাকা গুনতে মেশিন আনার ব্যবস্থা করেন আধিকারিকরা।
বুধবার রাত পর্যন্ত মোট ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় আয়কর দপ্তর। কিন্তু একসঙ্গে এত বেশি নোট গুনতে গিয়ে বিকল হয়ে যায় যন্ত্রও। তবে মেশিন সারিয়ে তুলে ফের নোট গোনা শুরু হয়।
ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের রাজ্য সভার সাংসদ ধীরাজ সাহুর সংস্থায় অভিযান চালায় আয়কর দফতর। থরে থরে সাজানো নোটের পাহাড় মেলে। সেখানে ছিল ২০০, ৫০০ এবং ১০০ টাকার বান্ডিল বান্ডনোট। উদ্ধার হওয়া নোট গুণতে নিয়ে আসা হয়েছিল টাকা গোনার মেশিন। শেষ পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে জানা যায়।
শুক্রবার উদ্ধার হওয়া নোটের বান্ডিলের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে একটি ক্যাপশনও দেন তিনি। লিখেছেন যে উদ্ধার হওয়া স্তূপাকৃতি নোট সকলের নজরে আসা চাই। সেই সঙ্গে সততা বিচার করার উপরও জোর দেন। দলীয় সাংসদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে তিনি লেখেন, কংগ্রেসের দুর্নীতির কথা নতুন কিছু নয়।সবাই জানে। অথচ, তাঁদেরই নেতা-নেত্রীরা জনসভায় দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। এ ব্যাপারে কংগ্রেস নেতাদের প্রশ্ন করার জন্য জনগণকে পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কংগ্রেস সাংসদের সংস্থা থেকে নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সরব ঝাড়খণ্ড বিজেপিও। রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ দীপক প্রকাশ বলেন যে, উদ্ধার হওয়া টাকা শুধুমাত্র একজন কংগ্রেস নেতার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেক নেতার কাছ থেকেই এমন টাকা মিলবে বলে দাবি তাঁর ।
অন্যদিকে ধীরাজ সাহুর সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কংগ্রেসের পাশে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের শাসক দল জেএমএম। মন্ত্রী মিথিলেশ কুমার জানিয়েছেন, কংগ্রেস সাংসদ মদের ব্যবসা করেন এবং এটি তাদের যৌথ পারিবারিক ব্যবসা। এই ব্যবসায় নগদ অর্থের লেনদেন হয়েই থাকে। এমন কোটি কোটি টাকার লেনদেন প্রতিদিন হয়। বিজেপি কেন আদানি ও আম্বানিদের বিরুদ্ধে আয়কর অভিযান চালাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ।
অন্যদিকে ধীরাজ সাহুর সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কংগ্রেসের পাশে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের শাসক দল জেএমএম। মন্ত্রী মিথিলেশ কুমার জানিয়েছেন, কংগ্রেস সাংসদ মদের ব্যবসা করেন এবং এটি তাদের যৌথ পারিবারিক ব্যবসা। এই ব্যবসায় নগদ অর্থের লেনদেন হয়েই থাকে। এমন কোটি কোটি টাকার লেনদেন প্রতিদিন হয়। বিজেপি কেন আদানি ও আম্বানিদের বিরুদ্ধে আয়কর অভিযান চালাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ।