বৃহস্পতিবার কর্ণাটক-সহ দেশের অন্তত ১০টি রাজ্যে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনএআইএ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জঙ্গিদের অর্থ জোগানো-সহ একাধিক অভিযোগে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র (পিএফএআই) ১০০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। এই অভিযানের নামে দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অক্টোপাস’। অপারেশন অক্টোপাস চলাকালীনই কেরল থেকে গ্রেফতার হয় পিএফএআই কর্মী শফিক পায়েত। সেই ইডিকে জানিয়েছে, চলতি বছর ১২ জুলাই মোদির পাটনার সভায় তাঁর উপর হামলার ছক ছিল মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটির। সেজন্য তাদের আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এই লক্ষ্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি সংগ্রহ করেছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া।
পিএফআইয়ের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই সংগঠনের মাধ্যমে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি জঙ্গি নিয়োগ করে বলে অভিযোগ উঠছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ সেই অভিযোগেও সিলমোহর দিল। এনআইএ জানিয়েছে, এই পিএফআইয়ের মাধ্যমেই ভারতে জঙ্গি রিক্রুট করত আইসিস, জইশ, আল-কায়দা, লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। এই মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা সংখ্যালঘু যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে শামিল হতে উৎসাহ দিত।
এদিকে এই মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি। এ বিষয়ে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, “গোটা দেশে পিএফআই ও এসডিপিআই-কে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্ণাটক ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সংগঠনটির।”