উত্তরপ্রদেশ:- আগামী বছর ২২শে জানুয়ারি রামনগরী অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর নির্বাচনী জনসভায় এই কথা উল্লেখ করেছেন। প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। হাই প্রোফাইল কর্মসূচিকে সামনে রেখে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অযোধ্যা শহর সেজে উঠছে। ঘরে ঘরে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও, গ্রামগুলিতে এলইডি বসানো হবে যাতে স্থানীয় লোকেরাও অনুষ্ঠানটি দেখতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ অনেক বড় ব্যক্তিত্ব এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এছাড়া বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রপ্রধানকেও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক হচ্ছে। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলা পবিত্রতা অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ পাঠানো হবে। এছাড়া কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে এলইডি বসানো হবে, ১৫ দিন ধরে অনুষ্ঠান হবে। জানা যাচ্ছে, উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করতে পয়লা জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে গ্রামে গ্রামে ভিএইচপি এবং সংঘ পরিবার অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। দেশের প্রায় সব গ্রামের মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। ভজন-কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুষ্ঠানও করা হবে। প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের দিন সব গ্রামে এলইডি বসানো হবে। দূর-দূরান্তের মানুষও অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান সরাসরি দেখতে পারবেন। গ্রামে গ্রামে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, রাজস্থানের যোধপুর থেকে ঘি আসছে রাম মন্দির নির্মাণ ও পবিত্রকরণের পর আরতির জন্য। মন্দিরে প্রচুর লোকের দর্শনের জন্য পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় বিপুল ভিড়ের কারণে প্রশাসনকে অসুবিধায় পড়তে হতে পারে মনে করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিপুল সংখ্যক ভক্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন এলাকায় দর্শনের জন্য নির্দিষ্ট দিন ও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের আগমনের সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।