• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নির্বাচনের নখ-দাঁত বোঝাতে শেসনের মতো মানুষকে চাই, বলল সুপ্রিম কোর্ট

দিল্লি, ২৩ নভেম্বর– দেশের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের পদ্ধতিতে যে সুপ্রিম কোর্ট মোটেই খুশি নয় তাই বোঝা গেল বুধবারের মন্তব্যে। কমিশনার বদলের দাবি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বুধবার বলেছে, নির্বাচনের সঠিক প্রভাব বোঝাতে টিএন শেসনের মতো মানুষকে নির্বাচন কমিশনার পদে দেখতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এমন মানুষদের কমিশনে পাঠানো যাঁরা শেসনের মতো কারও কাছে মাথানত করবেন

দিল্লি, ২৩ নভেম্বর– দেশের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের পদ্ধতিতে যে সুপ্রিম কোর্ট মোটেই খুশি নয় তাই বোঝা গেল বুধবারের মন্তব্যে। কমিশনার বদলের দাবি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বুধবার বলেছে, নির্বাচনের সঠিক প্রভাব বোঝাতে টিএন শেসনের মতো মানুষকে নির্বাচন কমিশনার পদে দেখতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এমন মানুষদের কমিশনে পাঠানো যাঁরা শেসনের মতো কারও কাছে মাথানত করবেন না। কারণ শেসনই বুঝিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের নখ-দাঁত কতটা ধারালো। 

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব শেসন প্রায় তিন দশক আগে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তামিলনাড়ুর এই আধিকারিক বছর তিন হল প্রয়াত হয়েছেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা প্রাক্তন এই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।

মামলায় দাবি করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের কাজে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের পদ্ধতি অনুসরণ করা হোক। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ করে থাকে।

অন্যদিকে, দেশের নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। দু’দিন আগেই ভারী শিল্পমন্ত্রকের সচিব পদ থেকে আগাম অবসর দিয়ে নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে এক সিনিয়র আইএএস অফিসারকে। নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ব্যবস্থার মতো পদ্ধতি অনুসরণ করতে নারাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, এ জন্য সংবিধান বদলানোর প্রয়োজন হবে।

দেশের চলতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার অনেক কিছুই চালু হয় ১৯৯০-এ শেসন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। তার আগে পর্যন্ত কমিশনের কাজ-কর্মে ভরসা বা ভয় কিছুই পেত না নির্বাচন নিয়ম ভঙ্গকারীরা। 

কমিশনার হওয়ার পর শেসন নির্বাচনী প্রচারে খরচের ঊর্ধ্বসীমা, প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র চালু, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নিয়োগ ইত্যাদি চালু করেন। প্রচারে হিংসা, জাত-ধর্ম তুলে গালমন্দ, ঘৃণা ভাষণ ইত্যাদি আটকাতেও ব্যবস্থা নেন। এই সব পদক্ষেপ নিতে গিয়ে সরকারের সঙ্গে পদে পদে বিবাদ বাঁধে তাঁর। কিন্তু চাপের মুখে পিছিয়ে যাননি তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে নির্বাচন কমিশন যে ভাবে এখন চলছে তাতে তারা সন্তুষ্ট নয়। সরকারকে ভাবতে হবে কীভাবে সাহসী, নিরপেক্ষ মানষদের কমিশনের মাথায় বসানো যায়।