দিল্লি, ২৬ আগস্ট– ভোট জনগণকে আকৃষ্ট করতে দেশের প্রত্যেক দল নানান লোভনীয় প্রতিশ্রুতির ঝড় তোলে। কেউ-কেউ তো প্রকাশ টাকা থেকে সোনা সব কিছু দিতে রাজি হন। যদি বাংলার উদাহরণই দেখেন, একুশের ভোট ইস্তেহারে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে মহিলাদের মাথাপিছু মাসে ৫০০ টাকা করে দেবেন। আবার বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল বিনা পয়সায় সরকারি বাসে চড়তে পারবেন মেয়েরা।
তবে ভোট ইস্তেহারে ঢালাও ঘোষণায় এখনও তামিল রাজনীতিকে ছুঁতে পারেনি কেউই। করুণানিধি বিনামূল্যে টিভি দেওয়ার ঘোষণা করতেন তো জয়ললিতা বলতেন, বিয়েতে সোনার কয়েন দেবেন। এমনকি সস্তায় সিমেন্টের বস্তা দেওয়ার কথাও ঘোষণা হয়েছিল একবার।
এবার কিন্তু এইসব প্রতিশ্রুতির গ্রহণযোগ্যতা ভাবিয়ে তুলেছে দেশের সর্বোচ আলাদাতকে। আর তাই ভোটের আগে এ সব ঘোষণা কতটা সঙ্গত তা এ বার বিবেচনা করে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ। এ ব্যাপারে শুক্রবার রায় ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
এ ব্যাপারে ৯ বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম বালাজি একটি রায় দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এমন ঘোষণা করতেই পারে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি সিটি রবিকুমার ও বিচারপতি হিমা কোহলিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়ে দিল, পুরনো রায় বিবেচনা করে দেখার সময় এসেছে।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, এ ব্যাপারে আদৌ বিচারব্যবস্থা হস্তক্ষেপ করতে পারে কিনা, বা কোনও নির্দেশ দিতে পারে কিনা তা বিচার করে দেখা হবে।