দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর – ডিএমকে সাংসদ ডিএনবি সেন্থিল কুমারের ‘গোমূত্র’ মন্তব্যের জেরে, বুধবার বেশ কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি রাখতে হয় লোকসভা। পরে, লোকসভায় তাঁর মন্তব্যের জন্য তিনি অনুতপ্ত বলে জানান ডিএমকে সাংসদ। মঙ্গলবার, সেন্থিলকুমার গোবলয়ের রাজ্যগুলিকে ‘গোমূত্র রাজ্য’ বলে কটাক্ষ করেন, যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপি ছাড়াও ডিএমকে-র শরিক কংগ্রেসও তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দা করে। ডিএমকে নেতা তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেও সেখানেই যে বিতর্ক শেষ হয়ে যাবে তেমন কোন লক্ষ্মণও চোখে পড়ছে না। বুধবারও এর রেশই জারি রইল সংসদে।
‘কেবলমাত্র গোমূত্র রাজ্যগুলিতে বিজেপি জেতে ’। মঙ্গলবার ডিএমকে সাংসদ ডিএনবি সেন্থিলকুমারের এই বেফাঁস মন্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভা। এই মন্তব্যের জন্য ডিএমকে সাংসদকে ক্ষমা চাইতে হবে এমন দাবি তুলে সরব হয় বিজেপি। ঘটনার পর কয়েক ঘণ্টা পার হতে না হতেই, মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ডিএমকে সাংসদ। স্পিকার ওম বিড়লার কাছে করেন দুঃখপ্রকাশ।
সংসদের রেকর্ড থেকে সাংসদের মন্তব্য মুছে ফেলা হলেও, এই নিয়ে বিতর্কের ঝড় থামেনি। ক্ষমা চেয়েও সেই বিতর্কে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন সেন্থিলকুমার।বিজেপির তামিলনাড়ুর সভাপতি কে আন্নামালাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ডিএমকে-এর অপশাসনের কারণে চেন্নাই ডুবে যাচ্ছে। আমাদের উত্তর ভারতীয় বন্ধুদের ফুচকা বিক্রেতা, শৌচাগার সাফাইকারী ইত্যাদি বলে ডাকার পর, ইন্ডিয়া জোটের ডিএমকে সাংসদ এবার গোমূত্রের উল্লেখ করল। তামিলনাড়ু বিজেপি এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছে।”
সেন্থিলের মন্তব্য সামনে আসতেই তা থেকে দূরত্ব তৈরিতে নেমে পড়েছে কংগ্রেস।কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরমও সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “খুব দুর্ভাগ্যজনক শব্দ চয়ন। অসংসদীয়। সেন্থিলকুমারের অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং এই মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।” আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেছেন, “আমাদের কারও এমন মন্তব্য করা উচিত নয়, যা সভ্য সমাজের ঐতিহ্যের সঙ্গে বেমানান।” দলের নেতা রাজীব শুক্ল বলেছেন, ‘‘আমরা ওই মন্তব্যের সঙ্গে মোটেও সহমত পোষণ করি না। এটি একান্তই ওই নেতার ব্যক্তিগত মতামত।’’