ধনকড়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি, বললেন ‘উনি সকলকে নিয়ে কাজ করতে জানেন’

দিল্লি, ৭ ডিসেম্বর– রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসাবে প্রথম বার অধিবেশন পরিচালন করেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর সেইদিন তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন মোদি বলেন, ‘রাজ্যপাল, উপরাষ্ট্রপতির পর এবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তিনি। এই পদপ্রাপ্তি অবশ্য পদাধিকার বলেই। এছাড়া ধনকড়ের প্রথম জীবনের পরিচয় হল আইনজীবী।’ 

সাধারণত রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশন নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বসে। যদিও এবার তা পিছিয়ে বুধবার শুরু হল। চলবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নিয়ম মেনে অধিবেশনের শুরুতে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের বক্তব্যে ধনকড়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। বলেন, “সংসদ ও গোটা দেশের তরফে আপনাকে অভিনন্দন জানাই।” কৃষক পরিবারের ছেলের উত্থানের প্রসঙ্গে টানেন। তাঁর কথায়,”আপনি কৃষকপুত্র এবং পড়াশুনো করেছেন সৈনিক স্কুলে। কৃষক ও জাওয়ান উভয়ের সঙ্গে আপনার গভীর সম্পর্ক।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “উনি রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছেন। সকলকে নিয়ে কাজ করতে জানেন। আমার বিশ্বাস, আমাদের সকলকে নিয়ে উনি এগিয়ে যাবেন। ওঁর মার্গদর্শনে আমরা সমৃদ্ধ হব।”

বিরোধী সাংসদদের প্রতি মোদি আবেদন করেন, “সভা পরিচালনায় নয়া চেয়ারম্যানের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন আপনারা।” উল্লেখ্য, আগামী দিনে সুষ্ঠু ভাবে সংসদের উচ্চকক্ষের কাজ পরিচালনা করাই ধনকড়ের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, লোকসভা ভোটের আগে সংসদে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের সংঘাত বাড়বে। যা সামলাতে হবে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল অর্থাৎ রাজ্যসভার বর্তমান চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে। নিঃসন্দেহে যা কঠিন কাজ হতে চলেছে।


গত ৬ আগস্টে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন ধনকড়। বিরোধী জোট প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে বড় ব্যবধানে হারান। উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের ফলাফল বেরোলে দেখা যায় আলভা পেয়েছেন ১৮২টি ভোট। অন্যদিকে ধনকড় পেয়েছেন ৫২৮টি ভোট। যদিও ৩৪ জন তৃণমূল সাংসদ ভোট দেননি। ১১ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন ধনকড়।